Main Menu

শাহ আরফিন টিলায় ২৭টি লিস্টার মেশিন ধ্বংস

আবুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকেঃ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) ট্রাস্কফোর্সের অভিযানে ইঞ্জিন চালিত ২৭ টি লিস্টার মেশিন, ১ টি ট্রাক্টর, ১১ হাজার ফুট প্লাস্টিক পাইপসহ অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন কাজে ব্যবহৃত প্রায় ৭০ লাখ টাকার সরঞ্জামাদি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

অভিযানের সময় ট্রাস্কফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে টিলায় স্থাপিত শ্যালো মেশিন, পাইপ ও আনুষাঙ্গিক মালামাল ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়।

সোমবার দূপুর ১২ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। অভিযানে ধ্বংসকৃত মালামালের মুল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ৫টি ট্রাকটরের চাকা ফুটো করে দেয়া হয় এবং দুটি বিশাল ঝুকিপূর্ণ পাথরের গর্তের বাধ ভেংগে দিয়ে পানি প্রবেশ করিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ বিধ্বংসী ও টিলা কেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে গত রোববার বিকালে শাহ আরেফিন টিলায় বহুল আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের জামাতা মামুন চৌধুরী ও তার ভাই হাসনু চৌধুরীর পাথরের গর্তে আব্দুল আউয়াল (৪০) নামের এক শ্রমিক পাথর চাপায় নিহত হন এবং আরও একজন আহত হন। নিহত পাথর শ্রমিক আব্দুল আওয়াল সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বপুর উপজেলার মেরুয়াখলা গ্রামের মৃত মুত্তালেব মিয়ার ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকের বাজার এলাকার বউ বাজারে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার আগেও মামুন চৌধুরী ও হাসনু চৌধুরীর গর্তে কয়েক দফায় একাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।এরপরও গর্ত মালিকরা জোর করে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলন করতে বাধ্য করত বলে জানায় স্থানীয়রা।

শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Share





Related News

Comments are Closed