খালেদার জামিন আবেদন ফেরত দিয়েছে হাইকোর্ট
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন ফেরত দিয়ে জ্যেষ্ঠ কোনো বেঞ্চে তা নিয়ে যেতে বলেছেন হাইকোর্ট। পরে জামিন আবেদন ফেরত নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান।
এর আগে জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আদালত বলেন, যেহেতু বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের একটি জ্যেষ্ঠ বেঞ্চে শুনানি হয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেহেতু বিষয়টি এখন আপিল বিভাগে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে এ সময় আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘বিষয়টি এর আগে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে শুনানি হলেও আপনাদের শুনতে কোনো বাধা নেই।’
এরপর আদালত জামিন আবেদনের বিষয়ে কোনো সাড়া না দিলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ‘তাহলে জামিন আবেদনটি আমরা (টেক ব্যাক) ফেরত নিচ্ছি’। এরপর আবেদনটি ফেরত নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানিয়েছেন, তারা হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে এটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করবেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর একই বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে তা গ্রহণ করে কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন আদালত। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় আবেদনটি আজকে কার্যতালিকায় এসেছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর এ মামলায় ৭ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। আপিলে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায় বাতিল এবং মামলা থেকে খালাস চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন আদালত। এর পর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জামিন ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে খালেদা জিয়া। বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৬০২ নম্বর ক্যাবিনে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
Related News
কানাইঘাটে যুবক হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ বছর পর সিলেটের কানাইঘাটে যুবক শাহনেওয়াজ (১৯) হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃতRead More
২৩ বছর পর রায়, সিলেটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ২৩ বছর পর সিলেট নগরীর বাগবাড়ীতে নিজ মেয়েকে স্বামীর সাথে বিয়ে নাRead More
Comments are Closed