Main Menu

নানা সমস্যায় জর্জরিত দৌলতপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক শুন্যতাসহ নানান সম্যাসায় জর্জরিত। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। সপ্তাহে দুই দিন একজন চিকিৎসক কেন্দ্রে আসলেও কিছুক্ষণ থেকে তিনি চলে যান। সপ্তাহের বাকী দিনগুলো স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরির্দশিকা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাটিও বেহাল। গর্ভবতী মহিলা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে তাদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবল সংকট রয়েছে। ৬টি পদের মধ্যে ৪টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য। কোয়াটারের বেহাল অবস্থা হওয়ায় কোন স্টাফ কোয়াটারে থাকেন না। কেন্দ্রের পরির্দশিকা জানান এই কেন্দ্রটির আবাসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় এখানে থাকা সম্ভব নয়।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেবর) দুপুরে সরেজমিনে দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা বাজারের অদূরে ও ইউনিয়ন পরিষদের কিছুটা সামনে অবস্থিত দৌলতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। কেন্দ্রেটি নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার হয়নি। বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে কেন্দ্রটিতে। উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি ছোট। এ কেন্দ্রে পায়ে হেটে যেতে হয়। যানবাহন নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্ঠকর। হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় ৬-৭ জন রোগী রয়েছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরির্দশিকার রুমে আরও দুইজন রোগী রয়েছেন। তাদের তিনি চিকিৎসা প্রদান করছেন।

স্থানীয়রা জানান, লোকবল সংকটের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন সুফল পাচ্ছেন না। উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন থেকে একজন চিকিৎসক সপ্তাহের মধ্যে এক-দুই দিন আসেন। কিছুসময় থেকে আবার চলে যান। রাস্তাটি ছোট হওয়ায় রোগীরা যানবাহন নিয়ে যেতে পারেন না। যার ফলে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন।

এব্যাপারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী আফিয়া বেগম বলেন, চিকিৎসার কিছুটা মান ভাল হলেও হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে গর্ভবতী রোগী নিয়ে আসা খুবই কষ্ট হয়।

দৌলতপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরির্দশিকা সুলতানা বেগম বলেন, প্রতিদিন ৩০-৪০জন রোগী আসেন। তবে কেন্দ্রের রাস্তাটি ছোট ও সংস্কার না হওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীরা চিকিৎসা নিতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে করা হয়। তবে রাস্তা বড় করার জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সম্বনয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করব।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকবল সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছয়টি পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। শুন্য পদগুলোর মধ্যে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিষ্ট, একজন অফিস সহায়ক ও পিয়ন পদটি শূন্য। জনবল সংকটের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শিরিন আক্তার। আমরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লোকবল সংকটের বিষয়টি জানিয়েছি।

Share





Related News

Comments are Closed