Main Menu

ঐতিহাসিক ‘নানকার বিদ্রোহ দিবস’ পালন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক ‘নানকার বিদ্রোহ দিবস’ (কৃষক বিদ্রোহ) আজ রোববার। নানকার বিদ্রোহ এ অঞ্চলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের জমিদার প্রথার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রামের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

প্রতিবারের মতো এবারও দিবস পালন করেছে বিয়ানীবাজার সাংস্কৃতিক কমান্ড, উলুউরী নানকার স্মৃতি পাঠাগার ও সানেশ্বর নানকার স্মৃতি সংসদ।

এর অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে মঞ্চস্থ হয়েছে নানকার কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে আব্দুল ওয়াদুদ রচিত নাটক ‘বিদ্রোহী নানকার’।

নানকার বিদ্রোহ সিলেট অঞ্চলের একটি কৃষক-আন্দোলন, যা ১৮ আগস্ট ১৯৪৯ সালে সংগঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে নান অর্থাৎ রুটি দিয়ে কেনা গোলামকে ‘নানকার’ বলা হতো। এ প্রথায় জমিদাররা কৃষকদের গোলাম করে রেখেছিল। বিংশ শতাব্দীর ২০-এর দশকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ১৯৫০ সালে জমিদার প্রথা বিলুপ্ত করার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

নানকার আন্দোলনের সংগঠক কমরেড অজয় ভট্টচার্যের দেয়া তথ্যমতে, ‘সে সময় বৃহত্তর সিলেটের ৩০ লাখ জনসংখ্যার ১০ ভাগ ছিল নানকার এবং নানকার প্রথা মূলত বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে অর্থাৎ বৃহত্তর সিলেট জেলায় চালু ছিল। ১৯২২ সাল থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত কমিউনিস্ট পার্টি ও কৃষক সমিতির সহযোগিতায় বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখা, কুলাউড়া, বালাগঞ্জ, ধর্মপাশা থানায় নানকার আন্দোলন গড়ে ওঠে।’

আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট পুলিশ, ইপিআর ও জমিদারদের পেটোয়া বাহিনী বিয়ানীবাজারের শানেশ্বর ও উলুউরি গ্রামের মধ্যবর্তী সুনাই নদীর তীরে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে শহীদ হন ব্রজনাথ দাস চটই, প্রসন্ন কুমার দাস, পবিত্র কুমার দাস ও কটুমণি দাস। অমূল্য কুমার দাস গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার হন এবং বন্দি অবস্থায় দু’দিন পর জেলে মারা যান।

এর আগে শানেশ্বর বাজারে পুলিশ ও জমিদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান রজনী দাস। নানকার আন্দোলনের এ শহীদদের স্মরণে প্রতি বছরের ১৮ আগস্ট নানকার বিদ্রোহ দিবস পালন করা হয়।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

Share





Related News

Comments are Closed