Main Menu

সিলেটে ৬ ট্রাভেলসকে জরিমানা, আটক ৩

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: ভূ-মধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিলেট অঞ্চলের ৯ জনের প্রাণহানীর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে মানবপাচারে অভিযুক্ত অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযানও শুরু করা হয়েছে।

সোমবার পৃথক পাঁচটি টিম নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৬ প্রতিস্টানকে জরিমানা ও ৩ জনকে আটক করে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় নগরের জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশন ও ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড মার্কেটে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ওলামা ট্রাভেলস, লন্ডন ইমিগ্রেশন সার্ভিস, আহমদ এভিয়েশন, জাকির’স, রিচ কনসালটেন্সি ফার্ম ও ইউসিএস এডুকেশন নামক ৬টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে জিন্দাবাজার এলাকার ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটি থেকে ৩ জন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয় এবং তাদের প্রত্যেককে একমাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছেন- ইউসিএস এ্যাডুকেশনের হীরা, রিচ রিল্যাশন গ্রুপের মাহবুব এবং জাকির এডুক্যাশনের কর্মচারী।

জিন্দাবাজারে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল চৌধুরী।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ‘মানবপাচার বন্ধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে লাইন্সেস-নিবন্ধন বিহীন ট্রাভেলসগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে। এজন্য ৫জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক ৫টি টিম নগরীতে নেমেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে আটাব সিলেটের সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল বলেন- ‘সিলেটে মানবপাচারের সাথে জড়িত প্রায় শতাধিক অবৈধ ট্রাভেল ব্যবসায়ী রয়েছে। এদের কারণে প্রকৃত ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা বিব্রত হচ্ছেন। আটাব এসব ব্যাবসায়ীদের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে দিয়েছিল। আজ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ও নিবন্ধনহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এসব এজেন্সির প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়া থেকে ইতালি পাড়ি দেওয়ার সময় ভূ-মধ্যসাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ৬০ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা যান, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এদের মধ্যে সিলেট বিভাগের ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

যারা সিলেট নগরীর রাজা ম্যানশনের ইয়াহিয়া ওভারসীজের মালিক এনামুল হকের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। এজন্য এনাম তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৮ লাখ করে টাকাও নিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে এনাম পলাতক রয়েছে। তার ট্রেভেলসও বন্ধ রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed