Main Menu

সিলেটে নির্বাচন কমিশন অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে ভাঙচুর-আগুন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সরকার পতনের একদফা দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ডাকা অবরোধ চলাকালে সিলেটে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে নগরের মেন্দিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়াল শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ২টা থেকে মহানগরের শাহজালাল উপশহর পয়েন্টে কয়েক শ আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় সড়ক অবরোধ করে দেন তারা। বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ তারা পয়েন্ট সংলগ্ন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন অফিস ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেন। নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ও গ্যারেজে থাকা দুটি জিপ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে গাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া নির্বাচন কমিশন অফিসের বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে আন্দোলনকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

অপরদিকে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের ভেতরে ঢুকতে না পেরে গ্লাস ভাঙচুর করে তারা।

একই সময়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের মহানগরীর চন্ডিপুলস্থ অফিসে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে, বেলা দুইটার দিকে একদল আন্দোলনকারীরা অফিসের সামনে থাকা ১০-১২টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এসময় অফিসের গ্লাস, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার অফিস বন্ধ ছিলো। এক দল দুর্বৃত্ত অফিসের সামনে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগে কাস্টমস এক্সাইজ- ভ্যাট কমিশনারেট অফিস ও কর ভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা মেন্দিবাগ কাস্টমস এক্সাইজ- ভ্যাট কমিশনারেট অফিসে হামলা চালায়। এসময় অফিসের বাহিরের গ্লাস ভাঙচুর করে। একই সময় কর ভবনেও হামলা হয়। এসময় ভেতরে থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘন্টা ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন তারা। পরে পুলিশে এসে আন্দোলণকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে। তবে কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর থেকে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো সিলেট নগরী। নগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোলাপগঞ্জে ৩ জন মারা গেছেন। নগরসহ সিলেটজুড়ে পুলিশসহ শত শত লোক আহত হয়েছেন।

Share





Related News

Comments are Closed