Main Menu

সিলেটে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৭২৩ জন

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বন্যার কারণে ৯ দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে সিলেটে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলে।

পরীক্ষায় প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৭২৩ জন পরীক্ষার্থী। শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হয়েছে পরীক্ষার প্রথম দিন। প্রথম দিনের পরীক্ষায় কোথাও কোনো গোলযোগের ঘটনা ঘটেনি।

সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুরো বিভাগের ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭০ হাজার ৫৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৯ হাজার ৮৫৬ জন। অনুপস্থিত ছিল ৭২৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২৮৬, হবিগঞ্জ জেলায় ১৪৬, মৌলভীবাজার জেলায় ১৩৫ ও সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫৬ জন অনুপস্থিত ছিলেন। বিভাগে অনুপস্থিতির হার ১.০২%। তবে নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কেউ বহিষ্কার হয়নি।

সিলেটের পুরো বিভাগের ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৯০ জন ছাত্র এবং ৪৯ হাজার ২০৫ জন ছাত্রী। যাদের মধ্যে সিলেটে ৩৫ হাজার ৬২০, সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ৬৬৪, মৌলভীবাজারে ১৬ হাজার ৫০৮ ও হবিগঞ্জে ১৫ হাজার ৩ পরীক্ষার্থী আছেন। বিভাগের চার জেলায় মোট ৮৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২২টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি ও হবিগঞ্জে ১৮টি।

স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের পরীক্ষা আগের রুটিনে শুরুর দিকে ছিল। আগের রুটিনে এগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ ছিল ৩০ জুন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, ২ জুলাই বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, ৪ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ৭ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র। এখন এই চার বিষয়ের পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি হলো ১৩ আগস্ট বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, ১৮ আগস্ট বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ২২ আগস্ট ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বন্যার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা বলছেন-পরীক্ষা আরও পিছিয়ে নেওয়ার জন্য। তারা শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সিলেটের বিভিন্ন নিচু এলাকায় এখনো হাঁটু সমান ও কোমর সমান পানি রয়েছে। এতে করে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যাওয়া আসায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী তাদের পরিবারের লোকজন শহরে হোটেল ভাড়া নিয়ে শুধু মাত্র পরীক্ষার জন্য অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, মহানগরীতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এক মাস পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো.জাকির হোসেন খাঁন পিপিএম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) ও আলিম পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালীন অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে আরও বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা চলাকালীন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।

এসএমপির আওতাধীন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা, সিলেট মদন মোহন কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ, সিরাজুল ইসলাম আলিয়া মাদ্রাসা, মদন মোহন কলেজ (তারাপুর ক্যাম্পাস), আম্বরখানা গালর্স উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, শাহপরাণ সরকারি কলেজ, নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা কলেজ, মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, রেবতী রমন উচ্চ বিদ্যালয়, ইছরাব আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজ, কুচাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর ডিগ্রি কলেজ, হাজী মোহাম্মদ রাজা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, জালালিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, জালালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ও সিলেট ক্যাডেট কলেজ।

Share





Related News

Comments are Closed