ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে অপহরণ করে হত্যা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা খালেককে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্প এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সাভারের জিরানী বাজারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের একটি আবাসন প্রকল্প আছে। সেখানে তিনি একটি নতুন বাড়ির নির্মাণ কাজ করাচ্ছিলেন। ওই প্রকল্পের পাশে তিনি একটা বাসায় ভাড়া থাকতেন।গত বুধবার (১২ জানুয়ারি) থেকে অধ্যাপক সাইদা খালেককে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মচারীকেও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে গাইবান্ধা থেকে আটকের পর তার জবানবন্দির ভিত্তিতে কাশিমপুর থানা পুলিশ আজ সাইদা খালেকের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, কর্মচারীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাশিমপুর থানা তার মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করেছে। ওই কর্মচারী পুলিশ হেফাজতে আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ চলাকালে শ্রমিকরা হয়তো কিছু দাবি করেছিল তার কাছে। তাদের সঙ্গে হয়তো সাইদা খালেকের মনোমানিল্য হয়েছিল। তিনদিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। আজ সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সন্দেহজনক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে নিহত অধ্যাপকের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা বলেন, সাইদা খালেকের মরদেহ একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এমন তথ্য পুলিশকে দেন রাজমিস্ত্রি আনোয়ারুল ইসলাম। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই অধ্যাপকের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

অধ্যাপক সাইদা খালেক কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকার মোশারফ মৃধার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি সেখান থেকে নিজের নির্মাণাধীন প্রজেক্টের দেখাশোনা করছিলেন। ওই বাসা থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সাইদা খালেক নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওসি আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন বা পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই অধ্যাপককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফতেখার জহির বাদী হয়ে আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Related News

সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে : মির্জা ফখরুল
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।Read More

স্বামীকে নামিয়ে বাসে নারীকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৫
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে গত শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত শেষRead More
Comments are Closed