Main Menu

পদ্মা সেতুতে বসল শেষ স্ল্যাব

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর নতুন এক মাইলফলক পূরণ হলো। এর মাধ্যমে সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাকি থাকবে শুধু পিচঢালাই।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে সেতুর রোডওয়ের শেষ স্ল্যাব বসানো হয়।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের।

তিনি বলেন, স্ল্যাব বসানোর মধ্যে দিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। সেতুর সাইড ওয়ালের কাজে বেশিসংখ্যক জনবল যুক্ত করা হবে। এখন প্রকল্পের কাজে বড় কোনো বাধা নেই। আগামি জুনের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হবে।

এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাঝখান দিয়ে গ্যাসলাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে শেষ হতে চলছে রেললাইনের কাজও।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮তম খুঁটির মাঝের স্প্যানে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শুরু হয়েছিল। পদ্মা সেতুর সড়ক পথের ২৯১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে সবগুলো এখন বসে গেছে। তবে যান চলতে বাকি থাকবে কার্পেটিং। ১৮ মিটার চওড়া স্প্যানের উপর তলায় ২২ মিটার প্রস্থের চার লেনের সড়ক পথ তৈরি শেষ হলেই যান চলাচলের উপযোগী হবে পদ্মা সেতু।

প্রকল্প সূত্র জানায়, পিচঢালাইয়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। তবে বর্ষা মৌসুমে কাজটি করা হবে না। শুরু হবে অক্টোবরের শেষ দিকে। স্ল্যাব বসানোর মাধ্যমে যে কংক্রিটের পথ তৈরি হবে, তার ওপর প্রথমে দুই মিলিমিটারের পানিনিরোধক একটি স্তর বসানো হবে। এটি ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে পরিচিত, যা অনেকটা প্লাস্টিকের আচ্ছাদনের মতো। এর ওপর কয়েক স্তরের পিচঢালাই হবে। সব মিলিয়ে পুরুত্ব হবে প্রায় ১০০ মিলিমিটার।

সেতুর দুই পাশের সাইড ওয়াল ও মাঝখানের সড়ক বিভাজক বসানোর কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত সাইড ওয়াল বসানো হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর বাইরে সেতুতে সড়কবাতি বসানোর খুঁটিসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে।

২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি। মূল সেতুর কাজ হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।

সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এরপরও প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকবে। তবে সে সময়টা সেতুর কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত করা হবে।

পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন, নিচ দিয়ে রেল। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ হবে। দক্ষিণের মানুষ এখন সেতুটি চালুর অপেক্ষায়।

Share





Related News

Comments are Closed