Main Menu

দেশে করোনায় আরও ৯৬ মৃত্যু, আক্রান্ত ৫১৮৫

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ যাবতকালে দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।

একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ১৮৫ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জন।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৫ হাজার ১৮৫ জনের শরীরে। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনের দেহে।

২৪ ঘণ্টায় দেশের ২৫৫টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৮২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯ জন। সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯৬ জনের মধ্যে ৫৯ পুরুষ ও ৩৭ জন নারী। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ২ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৫৫ জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ৬৮, চট্টগ্রামে ১২, খুলনায় ৫, বরিশালে ৫ ও ময়মনসিংহে তিন ও সিলেটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকারের এ উদ্যোগের প্রথম দিনে বুধবার করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল দেশ।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।

 

Share





Related News

Comments are Closed