গঠনতন্ত্র মানছে না ইবি শিক্ষক সমিতি

শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: ক্যাম্পাস বন্ধ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি। তবে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলছেন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭ এর (ক) ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করায় শিক্ষদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, রবিবার শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইলেক্টিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. কে এম আব্দুস সোবহানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: বখতিয়ার হাসান।
গঠনতন্ত্র সূত্রে, শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র ৭এর (ক) ধারা অনুযায়ী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তবে কোন কারনে যদি ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে তাহলে ক্যাম্পাস খোলার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন ও দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গত ৬ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনার মধ্যে নির্বাচন নেওয়া গঠনতন্ত্র বহির্ভূত হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ১৩ই জানুয়ারী আবারও শিক্ষক সমিতির নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষক দাবি করেন। সেই মতামতের প্রেক্ষিতে আজ (রবিবার) গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে শিক্ষক সমিতি।
ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এগুলো গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ। কোন সচেতন মানুষ এটা গ্রহণ করবে না। আমি মনে করি তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা পুনঃবিবেচনা করা উচিত।”
এ বিষয়ে জিয়া পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষক সমিতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হল। অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ইবি শিক্ষক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সকল শিক্ষক সংগঠনের সাথে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা আগামী ১৭ ফেব্রæয়ারির মধ্যে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মনে করি এমন পরিস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির এ সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র পরিপন্থী নয়।
Related News

ইবি’র আইন বিভাগে সান্ধ্যকোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সান্ধ্যকালীন কোর্সের এলএলএম ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষেরRead More

ঝিনাইদহে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ১০
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১০ জন নিহতRead More
Comments are Closed