Main Menu

জর্জিয়াতেও জিতলেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন, আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট প্রয়োজন হলেও তিনি পেয়েছেন এ পর্যন্ত ৩০৬টি। যদিও বাইডেনের জয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৯২ সালের পর এবারই প্রথম জর্জিয়ায় জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। এ নিয়ে তার ইলেকটোরাল ভোট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০ থেকে ৩০৬ এ। অন্যদিকে পিছিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প পৌঁছেছেন ২৩২ ভোটে। আলাস্কা আর নর্থ ক্যারোলিনার জয়ে তার ১৮ ভোট যোগ হয়েছে।

২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট, আর ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন পেয়েছিলেন ২৩২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। চারবছর পর ফল উল্টোই ঘটল।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের ভোটগণনা বাকি ছিল। এরমধ্যে জর্জিয়ায় ভোটের ব্যবধান খুবই কম হওয়ায় রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় ভোটগণনা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। শেষপর্যন্ত জয় তারই। রাজ্যটির ১৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি।

প্রথম মেয়াদে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন ৭৭ বছর বয়সী জো বাইডেন। শুধু তা-ই নয়, জয়ের আরও রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পেয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট। আবার করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে ৫৩৮টির মধ্যে ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোটও একটি ইতিহাস।

জো বাইডেনের জয়ে রেকর্ড গড়েছেন তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসও। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ডেমোক্র্যাট নেতা দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং প্রথম এশীয়-আমেরিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও বাইডেনের জয় স্বীকার করেননি। নিজের পরাজয় মানবেন না। বরাবরের মতো ভোট কারচুপির অভিযোগ তার। অবশ্য সংবাদমাধ্যম বলছে, শেষের দিকে গুরুত্বপূর্ণ যেসব রাজ্যে তিনি জিততে পারেননি, শুধু সেসবেই এ অভিযোগ। আবার বলছেন, তিনি আদালতেও যাবেন।

আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও আরও আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন তাই নিজের প্রশাসন প্রস্তুত করে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে কে বসতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথের পর দায়িত্ব নেবেন তিনি।

Share





Related News

Comments are Closed