Main Menu

কমলগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে প্লান্টেশন এলাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে এক কিশোরীকে (১২) ধরে নিয়ে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সজিব মাঝি (২৪) নামে এক যুবককে শনিবার (১ ফেব্রয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় আটক করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় কিশোরীকে ধরে নিয়ে রাত ৮টায় আবার ছেড়ে দেয় ধর্ষক।

শমশেরনগর চা বাগান চা বাগান ও শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার শমশেরনগর চা বাগানের নারায়ণ টিলার কিশোরী (১২) পাশের চা প্লান্টেশন এলাকায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় একই এলাকার সজিব মাঝি (২৪) কিশোরীকে ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ করে। রাত ৮টায় নির্যাতিতা কিশোরীকে ছেড়ে দিলে সে তার বাসায় ফিরে ঘটনাটি সবাইকে অবহিত করে।

শনিবার দুপুরে নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মা (গীতা কর) শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে ঘটনাটি অবহিত করে। এরপর শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরীর নির্দেশে এএসআই সৈকতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ধর্ষক সজিব মাঝিকে আটক করেছে।

কিশোরীর মা (গীতা কর) বলেন, তিনি সকালে কাজে গেলে বাড়িতে মেয়ে একা থাকত। তখন ধর্ষক সজিব তার মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। শুক্রবার বিকাল ৪টায় মেয়ে (নির্যাতিতা কিশোরী) পাশের চা প্লান্টেশন এলাকায় প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে গেলে সেখান থেকে ফেরার সময় সজিব মাঝি তাকে ধরে নিয়ে একটি নির্জন স্থানে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৮টায় তাকে আবার ছেড়ে দেয়। তিনি প্রথমে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলীকে অবহিত করেছিলেন। পরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

শমশেরনগর ইউনিয়নের চা বাগান এলাকার স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগটি গুরুতর। এটি সামাজিকভাবে সমাধানের কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া ধর্ষকের স্বজনরা নির্যাতিতার চেয়ে উঁচু বর্ণের দাবি করে তারাও কোন সামাজিক সমাধানে যায়নি।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা গেছে কিশোরীর সাথে অভিযুক্তের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের মাঝে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। চা বাগান থেকে বিভিন্নভাবে বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে সমাধান করে কিশোরীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব আসলেও মেয়েটি অপ্রাপ্ত ও উভয়ের মাঝে উঁচু বর্ণ ও নিন্ম বর্ণ দাবি করে ধর্ষকের পরিবার এ ধরনের উদ্যোগ মেনে নিতে রাজি হয়নি। তিনি আরও বলেন, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান থানার বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি থানায় ফিরলে তার সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী জানান।

Share





Related News

Comments are Closed