Main Menu

১৮ দিনের শিশুকে খুন করলো পাষন্ড বাবা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: মায়ের সিজারের ক্ষত না শুকাতেই আব্দুল্লাহ আল মাহাদি নামে ১৮ দিনের শিশুকে হত্যা করল বাবা। রোববার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি গ্রামে ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন ঘাতক বাবাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘাতক বিজয় হাসান উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।

নিহত শিশুর নানী নাজমা আক্তার জানান, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পারিবারিকভাবে তার মেয়ে নুসরাত জাহান মুন্নির সঙ্গে বিজয় হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিজয় হাসানের অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে মুন্নি প্রতিবাদ করলে বিজয় বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দিলে মুন্নি বাদী হয়ে বিজয় হাসানের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় গত ১৪ আগস্ট সাধারণ ডাইরি (নং ৬৩৫) করেন।

নুসরাত জাহান মুন্নি জানান, বিজয় হাসান ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন কাসর গ্রামের লাকি নামের এক মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত। এ কারণে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন মাস আগে ভাংনাহাটি গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে যান তিনি। ১০ অক্টোবর অপারেশনের (সিজার) মাধ্যমে তিনি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ির লোকজন ঘুমিয়ে পড়ে। মুন্নি ও নাজমা আক্তার শিশু মাহাদিকে নিয়ে এক ঘরে ঘুমান। পাশের কক্ষে ঘুমায় বিজয় হাসান। রোববার ভোর ৪টার দিকে শিশুকে দুধ পান করিয়ে আবারো ঘুম পাড়িয়ে পাশেই ঘুমিয়ে পড়েন মুন্নি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে বাথরুমের ভেতর পানি ভর্তি বালতিতে ডুবন্ত অবস্থায় মাহাদিকে দেখতে পান। তখনও বিজয় হাসান ঘুমের ভান করে ঘরেই শুয়ে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বিজয় হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির লোকজন ধরে তাকে ঘরে আটকে রাখে। পরে শিশু মাহাদিকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্রীপুর থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে মাহাদির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনার মুন্নি বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, ছেলেকে হত্যার অভিযোগে বিজয় হাসানকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed