Main Menu

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় পড়া চলছে

Manual3 Ad Code

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করছেন।

Manual5 Ad Code

ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার আগে আদালত কক্ষে কয়েকশত মানুষ উপস্থিত হন। এরমধ্যে আইনজীবী, জুলাই আন্দোলনকারী এবং গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং গণমাধ্যম কর্মীরা রয়েছেন।

এদিকে, রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকেও সরাসরি দেখানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকার দশটি পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে বড় পর্দায়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলা হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয় গত বছরের ১৭ অক্টোবর। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি। তাদের মধ্যে মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো।

এ মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন খোকন চন্দ্র বর্মণ। গত ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ।

Manual7 Ad Code

এরপর গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য ১৩ নভেম্বর দিন রাখা হয়। এদিন রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়।

এদিকে, শেখ হাসিনার রায় ঘোণাকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যাতে নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

Manual5 Ad Code

নাশকতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, যারা মানুষ ও পুলিশ সদস্যদে ওপর ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেবেন, আইনসম্মতভাবেই তাদের ওপর গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Manual6 Ad Code

Share





Related News

Comments are Closed

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code