Main Menu

গুলশান থানার সাবেক ওসির ৬ ও স্ত্রীর ৪ বছরের কারাদন্ড

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরকে ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে ৪ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এ তথ্য জানিয়ে বলেন, রায় শেষে জামিনে থাকা এ দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৩৮ টাকা অর্থদন্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তার ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফিরোজ কবিরকে অর্থদন্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতায় তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।

জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লক্ষ টাকা জমা করেন।

তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহ পেশার সাথে অসামঞ্জস্যর্পূণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।

এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।

Share





Related News

Comments are Closed