Main Menu

ইবিতে হলে হলে সিট বিড়ম্বনা

শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলে সিট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন নতুন করে সিট পাওয়া শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, নতুন বরাদ্দ হওয়া সিটগুলো আগে থেকেই দখল করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। রুমগুলোর দখল নিচ্ছে কারা? জানতে চাইলে হল কর্তৃপক্ষ তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে ছেলেদের অন্যান্য হলের অবস্থা আরও জটিল বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি- আবাসিকতা থাকলেও দুই-তিন বছর ধরে সিটগুলোতে উঠতে পারছেন না তারা।

জানা গেছে, শেখ রাসেল হলের ৩০১, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫ ও ৩০৬ নম্বর কক্ষের সিটগুলো অফিসিয়ালি খালি থাকায় কক্ষগুলোর ২২ টি সিটের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হল কর্তৃপক্ষ। গত ৩ অক্টোবর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তারা। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী ৪ কার্যদিবসের মধ্যে ২০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। হল বন্ধ থাকলেও প্রায় ২ শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর বিনা সাক্ষাৎকারে ২২ জন শিক্ষার্থীকে ওই সিটগুলোতে আবাসিকতা দেয় হল কর্তৃপক্ষ। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই তাদের সিটে উঠতে পারেননি বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এবার এলোটমেন্ট দেওয়ার পর আমি আবেদন করেছিলাম। পরে আমি ও গণরুমের কয়েকজনের আবাসিক সিট হলেও আমরা সেখানে উঠতে পারিনি। কারণ, ছাত্রলীগের ভাইয়েরা ওই সিটগুলোতে আগে থেকেই আছেন।’

এদিকে কে বা কারা কক্ষগুলো দখল করেছে তা জানতে চাইলে তাদের নাম বলতে চাননি হল কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, ছেলেদের অন্যান্য হলের অবস্থা আমাদের হলের চেয়েও খারাপ। আমরা আমাদের হলের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। কয়েকদিনের মধ্যে নতুন কিছু সিট খালি হবে। এসব সিটে ভুক্তভোগীদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই হলের কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারী ছাত্রলীগ নেতাদের হাতে ৩০২ ও ৩০৪ নম্বর কক্ষের চাবি দিয়েছে। এছাড়াও আগে থেকেই বাকি তিনটা কক্ষে ছাত্রলীগের কর্মীরা থাকতো। তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুজল বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন যাদেরকে সিট দেওয়া হয়েছে তারাই কক্ষে উঠেছে।

এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কয়েকটি কক্ষে তালা ভেঙে ছাত্রলীগ কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। ওই হল প্রশাসন কর্তৃক রুমে তালা ঝুলানো হলেও তালা ভেঙে সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও হলে আসতে দেরি করা শিক্ষার্থীদের কক্ষের তালা ভেঙে ঢোকারও অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হল, সাদ্দাম হোসেন হল ও লালন শাহ হলেও অনাবাসিক ও অন্য হলের শিক্ষার্থীদের সিটে থাকার অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈধ সিটে উঠতে না পারলেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সুপারিশে সিট পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দুই-তিন বছর ধরে বৈধ সিটে উঠতে না পেরে হল প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।

 

Share





Related News

Comments are Closed