যুদ্ধাপরাধী আবদুস সুবহান মারা গেছেন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা আবদুস সুবহান (৯৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে হাসপাতালের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মো. রবিউল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি।
সোবহানের নাতি এমএম মুসা জানান, জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও পাবনা-৫ আসনের পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। ৭/৮ বছর আগে যুদ্ধাপরাধী মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার ফাঁসির রায় হয়। এরপর থেকেই তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। গত ২৪ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল ও কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের মরদেহ পাবনা নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান পাকিস্তান আমলে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য। তিনি পাবনা আলিয়া মাদরাসার সাবেক হেড মাওলানা ছিলেন।
২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আনা ৯টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সুবহান হলেন জামায়াতের নবম শীর্ষ নেতা, যিনি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন।
প্রসিকিউশনের আনা ১ নম্বর অভিযোগে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের করে ২০ জনকে হত্যা; ৪ নম্বর অভিযোগে সাহাপুর গ্রামে ছয়জনকে হত্যা এবং ৬ নম্বর অভিযোগে সুজানগর থানার ১৫টি গ্রামে কয়েকশ মানুষকে হত্যার দায়ে সুবহানকে দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড।
২ নম্বর অভিযোগে পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামে পাঁচজনকে হত্যা এবং ৭ নম্বর অভিযোগে সদর থানার ভাড়ারা ও দেবোত্তর গ্রামে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড।
এ ছাড়া ৩ নম্বর অভিযোগে ঈশ্বরদীর অরণখোলা গ্রামে কয়েকজনকে অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় সুবহানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
প্রসিকিউশন ৫, ৮ ও ৯ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে সুবহানকে খালাস দেন আদালত।
রায়ের দিন সুবহানকে নির্দোষ দাবি করে তার ছেলে নেছার আহমদ নান্নু বলেছিলেন– রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাওলানা সুবহানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুণ্ডি গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ নাঈমুদ্দিন, মায়ের নাম নুরানী বেগম।
Related News
ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ। কোথাও কোথাও শিলাRead More
স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখRead More
Comments are Closed