Main Menu

বসুন্ধরায় অভিযানে কাউন্সিলর রাজিব আটক

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবকে আটক করেছে র‍্যাব। শনিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব হেডকোয়ার্টারের সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব জানায়, রাজিবের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির অভিযোগ আছে। কিন্তু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

এর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর রোডের ৪০৪ নম্বরের ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে র‍্যাব।

এদিকে, রাজধানীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্তের আলোকে অসামাজিক ও সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার (২০ অক্টোবর) তাকে বহিষ্কার করা হয়।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাজীব ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সূত্র জানায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যেই সিটি করপোরেশন এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ সরাসরি ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযানের পরপরই অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবও গত দুই সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। র‌্যাব সদর দফতর ও র‌্যাব-২ এর একটি যৌথ দল তাকে নজরদারি করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, টং দোকানদার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া রাজীবের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, চন্দ্রিমা হাউজিং, সাত মসজিদ হাউজিং, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রবাসীদের বাসাসহ এলাকার অনেকের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে। সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রীর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া রাজীব ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর পদে জয়লাভ করেন। এরপর থেকেই মূলত ভাগ্য আরও খুলে যায় তার।

Share





Related News

Comments are Closed