আদিবাসী দিবস আজ
প্রকাশিতকাল: ৫:৩১:৩৩, অপরাহ্ন ০৯ আগস্ট ২০১৯, সংবাদটি পড়েছেন ১১৩ জন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : ‘আদিবাসী ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন’ এই প্রতিপাদ্যে আজ (৯ আগস্ট) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব আদিবাসী দিবস। আদিবাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে।
অবশ্য প্রতিবছর ৯ আগস্ট দিবসটি পালিত হলেও এবার ঈদুল আজহার কারণে গত ৫ আগস্ট নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উপকমিশনের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম সভায় আদিবাসী দিবস পালনের জন্য ৯ আগস্টকে বেছে নেয়। এরপরে ৯৩ সালকে ‘আদিবাসী বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরের বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিবছর ৯ আগস্টকে ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯৯৫-২০০৪ এবং ২০০৫-১৪ সালকে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় আদিবাসী দশক ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’ গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে বড় পরিসরে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
বিশ্বের ৭০টি দেশে প্রায় ৩০ কোটি আদিবাসী বাস করে। বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৩০ লাখ আদিবাসী। এর মধ্যে ৪৬টিরও অধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে।
এদিকে, আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি চর্চার অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি। সেই সঙ্গে দলটি অবিলম্বে পাহাড়ে ও সমতলে আদিবাসীদের ওপর নিপীড়ন এবং পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ৯ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’-এর আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশের সব আদিবাসী ভাই-বোনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এ দাবি জানান।
এ বছরের আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আদিবাসী ভাষা চর্চা ও সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন’ এর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নেতারা বলেন, প্রতিটি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। নিজের ভাষা, সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা রয়েছে। প্রতিটি জাতিকে তার নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে। ভাষা ও বর্ণমালা রক্ষা এবং তাদের ভাষায় শিক্ষা জীবন শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি জাতির মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রকাশে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের আদিবাসীরা এদেশের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল জাতিগত শোষণের সমাপ্তি ঘটানো। কিন্তু দেশে পাহাড় ও সমতলের ছোট জাতিসত্তাসমূহের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন আজও চলছে, যা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের বিচ্যুতি।
নেতারা আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তাদের নিজস্ব গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত, প্রশাসনিক ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অতীতের মতো আদিবাসীদের প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ের পাশে কমিউনিস্ট পার্টি থাকবে বলে জানান তারা।
Related News

১০টি আন্তনগর ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ রেলওয়াতে ট্রেনের সিডিউলে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ১০টিRead More

গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর, গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেরRead More
Comments are Closed