Main Menu

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আজ দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ জুন) শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষা ঘিরে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সব প্রস্তুতি। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুত মোট ২ হাজার ৭২৫ কেন্দ্র ও ৯ হাজার ৪৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ হাজার ৫৬৬ কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আলিম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫টি। এছাড়া এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮টি।

গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

পরীক্ষা সুচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি; যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষ ব্যবস্থায় উল্লেখ করা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সূচি অনুযায়ী, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। এরপর ১২ আগস্ট থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২১ আগস্ট। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষাও একই দিন শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষাও ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। আর কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। এই বোর্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুলাই, শেষ হবে ৪ আগস্ট।

এছাড়া বিদেশে এবার মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপলীতে ২টি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি ও সাহাম ওমানে ২৬টি কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। ৩০ জুন থেকে ওই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। আগামী ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।

বোর্ড সূত্র জানায়, সিলেটে ৮ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা পেছানোয় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র -এই চার বিষয়ের পরীক্ষা পরে অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার বলেন, ৮ জুলাই পর্যন্ত যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, সেসব বিষয়ের নতুন রুটিন শিগগির দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহে নতুন করে রুটিন দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

শিক্ষা বোর্ড–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভাগের চার জেলা। পুরো বিভাগের ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৯০ জন ছাত্র এবং ৪৯ হাজার ২০৫ জন ছাত্রী। এর মধ্যে সিলেটে ৩৫ হাজার ৬২০, সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ৬৬৪, মৌলভীবাজারে ১৬ হাজার ৫০৮ ও হবিগঞ্জে ১৫ হাজার ৩ জন পরীক্ষার্থী আছে। বিভাগের ৪ জেলায় মোট ৮৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। এর মধ্যে সিলেটে ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২২টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি ও হবিগঞ্জে আছে ১৮টি।

Share





Related News

Comments are Closed