Main Menu

রিজার্ভে যোগ হলো আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনের দুদিন পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড় হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৪ জুন) বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তাতে রিজার্ভের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।’

এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে তিনটি কিস্তি পাওয়া গেছে।

বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) এই তিন আলাদা কর্মসূচির আওতায় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ।

যদিও রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় কিস্তি নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। বাংলাদেশ সরকারের করা বিশেষ বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন করে আইএমএফ বোর্ড। কিস্তি পাওয়ার পর সংস্থাটির শর্তের ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন রিজার্ভ সংরক্ষণে সক্ষম হলো বাংলাদেশ। অন্তত চারটি সংস্থার কিস্তির অর্থ মিলে গতকাল বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন হয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed