Main Menu

সিলেটে পানিবন্দির সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ১০ লাখ, কমছে নদ-নদীর পানি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট ও উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ শুক্রবার (২১ জুন) নদ-নদীর পানি কমার গতি আরও বেড়েছে। এতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরে কমছে নদ-নদীর পানি। দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেটে ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১জন মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এর মধ্যে নগরীতে বন্যা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার মানুষ। বাড়িঘরে পানি উঠে পড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন প্রায় ২৮ হাজার ৯২৫ জন মানুষ।

শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে সর্বশেষ এ তথ্য জানায় জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ২৯টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলায় ৭১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯২৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় বন্যায় ১০ লাখ ৪৩ হাজার ১৬১ জন মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। জেলার ১৫৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩৬টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৬০২টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগর উপজেলা। আর সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৯টি ওয়ার্ডে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬০ হাজার।

বন্যা কবলিত অনেক এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা যাচ্ছে না এমন অভিযোগ রয়েছে অনেকের। রয়েছে পানি বাহিত রোগ ছড়ানোর শঙ্কা।

তবে প্রাশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৬০০ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। একই সাথে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে ৫দিন পর সিলেটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলেছে। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় রোদ উঠতে দেখা গেছে। এতে বানভাসী মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে সিলেট নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগে থেকে অনেকটা কমেছে পানি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিলো ২০ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।একইভাবে গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও কোনো বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ১০৩ ও শেরপুর পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘আজ নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢল না হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।

 

Share





Related News

Comments are Closed