Main Menu

তাহিরপুরে বিড়ি বাকি না দেয়ায় যুবককে হত্যা, আটক ১

তাহিরপুর সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিড়ি বাকিতে না দেয়ায় চুরিকাঘাতে এমরান মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত এমরান উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া (৩৫) পালিয়ে যাবার সময় পাতারগাও ইসলামপুর বাজারে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

সে হুসনারঘাট গ্রামের নিহত এমরানের বাড়ির পাশের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়ার ছেলে।

নিহতের পিতা জানান, এমরানের বাড়িতে মুদি দোকানে তেল সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করা হয়। সকালে লিটন মিয়া এমরানের বাড়িতে গিয়ে বাকীতে বিড়ি চাইলে এমরানের মা মাজেদা বেগম আগের পাওনা টাকা চেয়ে বাকিতে বিড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় সে বাকবিতন্ডা শুরু করে। বাকবিতন্ডা শুনে এমরান এগিয়ে আসলে লিটন মিয়া পাশে নিজের বাড়ি থেকে দা ও ছুরি এনে দা দিয়ে মাথায় আঘাত। পরে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করলে সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় এমরানের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লিটন পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর আহত এমরানকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চানঁ মিয়া জানান, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক, সে এর আগেও এলাকায় অনেককেই আঘাত করেছে। নিহত এমরানের বাবা চোখে দেখে না। তার ছোট ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

নিহত এমরানের বাবা সাজিদ মিয়া জানান, আমার ছেলেকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি দাবি করছি। যাতে করে আমার মত আর কোনো বাবা এভাবে সন্তানহারা হতে না হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন।

তিনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যার কাজে ব্যবহৃত দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Share





Related News

Comments are Closed