Main Menu

শায়েস্তাগঞ্জে স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্র তানভীর হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ প্রদান করেছেন আদালত। এছাড়া আরও একজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামিকে ১ লক্ষ করে টাকা জরিমানা এবং অপর জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম নছরতপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও নূরপুর গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬) ও বাছিরগঞ্জ বাজারের জলিল কবিরাজের ছেলে জাহিদ মিয়া (২৮)।

কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী হলো- মরমা গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে মো. লিমন মিয়া।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের পিপি স‌রোয়ার আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামীরা পরিকল্পনা করে নির্মমভাবে তানভীরকে হত্যা করে তার লাশ পুঁতে রাখে। তবে আসামিরা একদিন পরেই গ্রেফতার হয়ে ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতেই লাশ ও আলামত উদ্ধার করা হয়। মাননীয় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২১ জনের সাক্ষীর মাধ্যমে তাদের দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার তাদের ফাঁসির আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুরের বাসিন্দা তানভীর হোসেন নিখোঁজ হন। এরপরই তার বাবার কাছে ৮০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে কল আসে।

এ ঘটনায় অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ আসামিদেরকে আটক করলে তারা তানভীরকে হত্যা করে পুকুরে পুতে রাখা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি

পুলিশী অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর আগে তানভীরের বাবার কাছে অপমানিত হন মামলার আসামী উজ্জ্বল মিয়া ও তার বাবা। এ ঘটনার পর প্রবাসে চলে যান উজ্জ্বল।

ছয় বছর পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন উজ্জ্বল মিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীরকে ডেকে গ্রামের পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন আসামি শান্ত।

পরে শান্ত ও জাহিদ তানভীরকে ধরে রাখেন ও উজ্জ্বল তানভীরের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে কাঁদার মধ্যে চাপা দেন।

ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তানভীরের বাবার মুঠোফোন নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপন দাবি করা হয় বলেও পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে।

Share





Related News

Comments are Closed