Main Menu

গোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নিহত ৫

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন।

বুধবার (২০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কমল বেগম (৭৮), কাজী সালমা (৬২), কাজী আসমা (৫৮) ও কাজী নাছিমা (৭০)। অপর নিহত মাইক্রোবাসের চালকের পরিচয় এখনও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে চারজন। নিহত কমল বেগমের স্বামী কাজী হুমায়ূন কবির, বোন নাজমা বেগম ও ভাই তাছলিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য। পারিবারিক ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে বুধবার সকালে ঢাকার মিরপুর থেকে মাইক্রোবাসযোগে তারা গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসরা উপজেলার গোপালপুরে যাচ্ছিলেন। সকলেই ঢাকায় বসবাস করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল গ্লোবাল পরিবহনের একটি বাস। বিপরীত দিক থেকে আসছিল একটি মাইক্রোবাস। ঘটনাস্থলে এলে বেপরোয়া গতির কারণেই ঘটে এ দুর্ঘটনা। এতে মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

গ্লোবাল পরিবহনে থাকা এক যাত্রী বলেন, গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। এর আগে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভুরঘাটা নামক স্থানেও একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বাসটি। সেখানেও একটি মাইক্রোবাসকে চাপ দেয়। ফলে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি ভ্যানগাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপরে আবারও দুর্ঘটনা ঘটায় মুকসুদপুরে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গ্লোবাল পরিবহনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি পথে উপজেলার ছাগলছিরা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন মাইক্রোবাস যাত্রী মারা যায়। পরে আরও দুজন মারা যান।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে হাইওয়ে থানা পুলিশ। মরদেহ এখনও ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ কার্যালয়ে রয়েছে। নিহতদের স্বজনরা থানায় এসেছেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত কমল বেগমের দেবরের মেয়ে কাজী নাছরিন জানান, সবাই ঢাকাতেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ইফতারে যোগ দিতেই ঢাকা থেকে সকলেই গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের উদ্দেশ্যে আসছিলেন।

তিনি আরও জানান, চাচা-চাচী ও চার ফুফুসহ পরিবারের সদস্যরা গাড়িতে ছিলেন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চাচি ও তিন ফুফু মারা যান।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তরুণ কুমার পাল জানান, মৃত অবস্থায় ৪ জন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল থেকে মরদেহ থানায় নেয়া হয়েছে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু নোমান জানান, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চার যাত্রী ও চালক মারা গেছে। নিহতদের মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা এসেছেন মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও জানান, নিহত চার নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে মাইক্রোবাসের চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। মামলায় বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

 

Share





Related News

Comments are Closed