Main Menu

সিলেট জুড়ে আগাম বৃষ্টিতে হাওরে সবুজ সমারোহে ধানগাছ ধূলছে

আবুল কাশেম রুমন: সিলেট জুড়ে বসন্তের আগমনে আগাম বৃষ্টি হওয়াতে, হাওরে হাওরে ফিরে পেয়েছে সবুজ সমারোহের ধানগাছ। বিশেষ করে ধানের রাজ্য হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জের যে হাওরের দিকে দৃষ্টি যায় সেদিকে সবুজ ধানের বাতাসের ধূলতে দেখা যায়। এবার আগাম বৃষ্টি ও ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষকের স্বপ্ন। কৃষকরা জানান,তারা প্রতি বছরের প্রকৃতিক দূর্যোগ বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাননা ধানের ফসল উত্তোলনে। তবে এ বছর তারা ধারণা করছেন কৃষকরা অতিবৃষ্টি ও বন্যার আগে ফসল তুলতে পারবেন।

সিলেটের পুরো হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ, সিলেটে জেলার আংশিক এলাকায় সবুজ ধানের শীষের ডগায় দুলছে কয়েক লাখ কৃষকের স্বপ্ন। অপেক্ষার পালা সোনালি ধান কেটে গোলায় তুলবেন হাওরের কৃষকরা। প্রকৃতি সহায় থাকলে এপ্রিলের প্রথম দিকে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বপ্নচারী কৃষকরা। প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় অন্য বছরের চেয়ে এবার বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১৪২ হাওওে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। তবে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে হাওরে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬১ হেক্টর ও নন হাওরে ৫৮ হাজার ৪৬ হেক্টর। হাওর ও নন হাওর মিলে হাইব্রিড জাতের ধান ৬৫১০৩ হেক্টর, উফশী জাতের ধান ১৫৭১১১ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান ১১৯৩ হেক্টর আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জে বোরো ফসল দিয়ে জাতীয় খাদ্য চাহিদার ১২ থেকে ১৩ দিন পূরণ করা হয়। সুনামগঞ্জের হাওর থেকে এবার ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন ধান এবং চালের হিসাবে ৯ লাখ ২ হাজার টন চাল পাওয়া যাবে।

হবিগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার জেলার সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর, মাধবপুরে ১১ হাজার ৭০, চুনারুঘাটে ১০ হাজার ৮৯৫, বাহুবলে ৮ হাজার ৬১০, নবীগঞ্জে ১৯ হাজার ৫৮০, লাখাইয়ে ১১ হাজার ১২০, বানিয়াচংয়ে ৩৩ হাজার ৬৮৫ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা ৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯ মেট্রিক টন।

Share





Related News

Comments are Closed