Main Menu

ছাতকে পাবেল হত্যা মামলার আসামী আ’লীগ নেতা আবদুল মছব্বির কারাগারে

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে বহুল আলোচিত স্কুল ছাত্র পাবেল আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি, ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সহ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বিরকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

তিনি উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের ছোট মায়েরকুল গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকালে সুনামগঞ্জের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এব্যাপারে আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুল আজাদ রুমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারী সকালে ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ছোট মায়েরকুল গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ করতে তৎকালিন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বির ও তার প্রধান সহযোগি আবদুল কদ্দুছ পক্ষদ্ধয় মাঠ দখলের চেষ্টা করেন। এসময় গ্রামের জসিম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন বাঁধা নিষেধ দিলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষ অস্ত্রধারীদের হামলায় আহত হয় খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনির ছাত্র। সে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির ছোট মায়েরকুল গ্রামের ফারুক আলীর পুত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বিরকে প্রধান আসামি করে থানায় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যার মামলা (নং-২৩, তাং-৩১.০১.২০২০ইং) দায়ের করেন। দীঘদিন সরকার দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে থানা থেকে হত্যার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল থানা পুলিশ। এ ঘটনার বিপরীতে বাদী পক্ষ নারাজি দিয়ে পিবিআইকে তদন্তে দিলেও থানা পুলিশের ন্যায় তারাও অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ বিষয়ে নারাজি আদালত গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিভিউ পিটিশন আপিল মামলা দায়ের করেন নিহতের মা পারভীন। বিষয়টির তদন্তের দায় ভার দেয়া হয় র‌্যাব বাহিনীকে।

অবশেষে আওয়।মীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মছব্বিরের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন র‌্যাব বাহিনী। আর ওই মামলায় গত ১৯ নভেম্বর সুনামগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ মামলায় আনোয়ার হোসেন ব্যতিত অন্যান্য আসামিরা জামিনে আছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আনোয়ার নামে আসামী দুবাইয়ে পলায়ান করেন।

Share





Related News

Comments are Closed