Main Menu

৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্ব শুরু হচ্ছে বুধবার

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্ব শুরু হচ্ছে বুধবার।

‘তোমরা এগিয়ে গেলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ -স্লোগান নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্তপর্বে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠে আসা প্রতিযোগীরা চারটি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করবে। সকাল ১০টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- চূড়ান্তপর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। পাঁচদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১ অক্টোবর সিলেট আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবগুলো ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী ফুটবলে প্রায় দুই লাখ। কাবাডি ও হ্যান্ডবলে প্রায় সত্তর হাজার অংশগ্রহণ করে। সাঁতারে প্রায় ৪৫ হাজার ও দাবাতে ১৫ হাজার অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে (ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল) ৬ সহ¯্রাধিক চৌকস-মেধাবী খেলোয়াড় বাছাই করা হচ্ছে। অনুর্ধ্ব-১৭ বছরের এই খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ছাত্র এবং ৩ হাজার ছাত্রী।

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি প্রথম শুরু হয় স্কুল/মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। জেলা পর্যায়ের দলগুলো ৯টি উপ-অঞ্চলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে। উপ-অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

পদ্মা, গোলাপ, চাঁপা ও বকুল -এ ৪টি অঞ্চলের বিজয়ী দল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট নগরীর বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

Share





Related News

Comments are Closed