হবিগঞ্জে কৃষক তোতা মিয়া হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জে কৃষক তোতা মিয়া হত্যা হামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।মামলার বাকি ১৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভিংরাজ মিয়া, সিজিল মিয়া, ফজল মিয়া, জিতু মিয়া ও শাহ আলম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছেন ইউনুছ মিয়া ও আব্দুল্লাহ মিয়া। এছাড়াও আরও ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীববী এডভোকেট মো. নুরুজ্জামান জানান, ২০১৪ সালের ১ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘলবাগ গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন এবং তোঁতা মিয়া মারা যান। এ ঘটনার পরদিন তোঁতা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।রায় প্রদানকালে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
তিনি জানান, ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ দখল করে টয়লেট নির্মাণ করে একই গ্রামের শাহ আলম। টয়লেটের ময়লাও তিনি রাস্তায় ছেড়ে দেন। এমনকি পার্শ্ববর্তী কবরস্থানের কিছু অংশ কেটে তিনি নিজের জমির সাথে মিশিয়ে নেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি দেখে দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি তাও মানেননি। উল্টো রাস্তা দখল করে মাচা বেঁধে চলাচল বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুরুব্বী ও সালিশ বিচারক তোতা মিয়াসহ কয়েকজন আইনের দোহাই দিয়ে তাকে রাস্তা বন্ধ করতে নিষেধ করেন। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহ আলম উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে শাসান।
২০১৪ সালের ১ আগস্ট দুপুরে তিনি দলবল নিয়ে তোতা মিয়ার উপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ২ আগস্ট তার ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদি হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে ১৫ জন সাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক মঙ্গলবার উল্লেখিত রায় দেন।
Related News

জামায়াত নেতা ড. মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ১০ বছর আগের পল্টন থানার নাশকতার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণেরRead More

যুবদলের সাবেক সভাপতি নিরবসহ বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে আড়াইRead More
Comments are Closed