Main Menu

দ্বিতীয়বার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় নম্বর কাটা যাবে

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কাটার বিষয়ে চেম্বার বিচারপতির দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা চেম্বার বিচারপতির আদালতে স্থগিত হয়েছিল। এর ফলে আগের নিয়মেই এমবিবিএস পরীক্ষায় নম্বর কর্তনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এই আদেশ দেন। এসময় আদালতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ পাঁচ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।

স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন (২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ) আহ্বান করে গত ২১ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর প্যারায় বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২৭ আগস্ট রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

এই রিটের ওপর গত মঙ্গলবার এই নিয়ে আদালত ওই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ইউনুছ আলী আকন্দ নিজে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।

Share





Related News

Comments are Closed