Main Menu

মানুষখেকো দম্পতি ধরা পড়লেন যেভাবে

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় এক মানুষখেকো দম্পতিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্রাসনোদার শহরে বসবাসকারী দিমিত্রি বাকশেভ (৩৫) ও তার স্ত্রী নাতালিয়া প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ওই দম্পতি ক্রাসনোদার শহরের সামরিক ঘাঁটিতে বসবাস করেন। সেখানে কাঁটা-ছেড়া ও অঙ্গহীন একটি লাশ পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বাসস্থানে তল্লাশি করে পাওয়া বেশকিছু খাদ্যদ্রব্য ও মাংসের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ মাসের শুরুর দিকে সড়ক নির্মাণ শ্রমিকদের রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া একটি মোবাইলের ছবিতে শরীরের কাঁটা-ছেড়া অঙ্গের বেশকিছু গ্রাফিক চিত্র পাওয়া গেছে।

এর আগে রাশিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে বাকশেভ মানুষের শরীরের একটি কাটা অঙ্গ মুখে নিয়ে আছেন।

এর পরপরই এই দম্পতির সামরিক একাডেমির বাড়িতে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। সে মরদেহটি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছিল। ওই জায়গায় নিহত নারীর জিনিসপত্র বহনকারী ব্যাগও পাওয়া যায়।

ছবিতে যে লোকটিকে দেখা গেছে সে ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি তল্লাশি করছে। সেখানে কাচের পাত্রে স্যালাইনে সংরক্ষণ করে রাখা মানুষের শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া গেছে।

তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, ওই তল্লাশির সময় বাড়ির রান্নাঘরে অজানা প্রজাতির কিছু খাদ্যদ্রব্য এবং মাংস পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত নমুনা মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর তা পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।

রাশিয়ার গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই বাড়ির ভেতরে ও মোবাইল ফোনে পাওয়া ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এসব হত্যাকাণ্ড প্রায় ২০ বছর আগের।

এদের মধ্যে একটি ছবি ১৯৯৯ সালের ২৮ শে ডিসেম্বরে তোলা।

ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বড় থালায় বিভিন্ন রকমের ফলের সঙ্গে মানুষের একটি রক্তাক্ত কাটা মাথা পরিবেশন করা হয়েছে।

দেশটির পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ওই দম্পতিকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তারা কারাগারে থাকা অবস্থায় অন্যান্য পরীক্ষা চলবে।

Share





Related News

Comments are Closed