Main Menu

সব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সব্যসাচী লেখক, কথাশিল্পী, কবি সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটিকে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালন করবে।

বাংলা সাহিত্যের এ মেধাবী কবি গত বছরের এই দিনে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন।

কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প, চলচ্চিত্র, গান, অনুবাদসহ সাহিত্যে-সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী’ লেখক বলা হয়ে থাকে।

মৃত্যুর আগে আশিতম জন্মদিনের বক্তৃতায় বলেছিলেন, কতটুকু গেলে স্বর্গ মেলে, আর কতদূর যেতে হবে? ইতিহাসের নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে আমার জীবন গেছে। এ দীর্ঘ পথচলার উপলব্ধি হচ্ছে, জীবন সবার ওপরে। জীবনের স্বাদ হচ্ছে বেঁচে থাকায়। অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকায়। লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।’

সৈয়দ হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রথম লেখা একটি গল্প, যা ১৯৫১ সালে ফজলে লোহানী সম্পাদিত ‘অগত্যা’ নামে একটি ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল।

১৯৫৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৬ সালে তিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি ১৯৫৯ সালে ‘মাটির পাহাড়’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। এরপর ‘তোমার আমার’, ‘শীত বিকেল’, ‘কাঁচ কাটা হীরে’, ‘পুরস্কার’, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বড় ভাল লোক ছিল’সহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন।

‘বড় ভাল লোক ছিল’ ও ‘পুরস্কার’ এ দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন।

Share





Related News

Comments are Closed