Main Menu

‘সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানোর আহ্বান’

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সঞ্চয়পত্রে সুদের হার না কমানো এবং প্রস্তাবিত বাড়তি আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

কৃষি মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৯ বছরে বাজেটের আকার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণেরও বেশি। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে সরকার সাফল্যের সাথে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে উন্নয়নের কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যেতে সম্ভব হয়েছে। এ বাজেটও সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে।

বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায় তিনি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মন্তী আরো বলেন, বাজেটে ট্রাক্টরের ওপর যে কর প্রস্তাব করা হয়েছে তা মরার ওপর খাড়ার ঘা। এর ওপর থেকে প্রস্তাবিত কর প্রত্যাহার, ব্যাংক আমানতের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করাসহ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানোর আহবান জানান তিনি।

প্রস্তাবিত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে বছরের যে কোন সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে ওই আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এরপর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা শীর্ষে উঠে এসেছে বিষয়টি।

ব্যক্তি থেকে সংগঠন, সংস্থা, এমনকি জাতীয় সংসদেও তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। দাবি উঠেছে বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের। সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে জেদ না ধরে জনগনের কথা মাথায় রেখে শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বানও জানান।

অন্যদিকে, সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কিছুটা কমানো হবে। সাধারণত সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ব্যাংকের সুদের হারের থেকে একটু বেশি রাখা হয়। তবে খুব বেশি রাখা ‍উচিত নয়। আমাদের সামগ্রিক একটি হিসাব হল- মার্কেট ইন্টারেস্ট রেটের থেকে কমপক্ষে ২ শতাংশ বা তার বেশি রাখা দরকার। সেই অনুযায়ী, এই রেট নির্ধারণ করা হবে।

বর্তমানে ৪ ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এসব সঞ্চয়পত্রে সর্বনিম্ন সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ১১ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে ব্যাংকে আমানতের মেয়াদ ভেদে ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যায়।

Share





Related News

Comments are Closed