Main Menu

রাগীব আলীর অর্থ আত্মসাত মামলার রায় রবিবার

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখল করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় ২৬ ফেব্রয়ারি রবিবার ঘোষনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতের পিপি মাহফজুর রহমান জানান- মামলার ৩৩জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে রাগীব আলীর পক্ষে কোন আইনজীবী অংশ না নিলেও বাগানের সেবায়েত এবং ওই মামলার আসামি পঙ্কজ কুমার গুপ্তের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখল করে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা স্থানান্তর আবেদন শুনানী শেষে খারিজ করে দিয়েছেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্কের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। ওই দিন রাগীব আলীর পক্ষের আইনজীবীরা মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আবেদন করলে বুধবার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। শুনানী শেষে মামলা স্থানান্তর আবেদন খারিজ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফ্রেবুয়ারি) যথারীতি মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে ভূয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা বাগানের ৪২২ দশমিক ৯৬ একর দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেন রাগীব আলী। ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে সরকারের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে পৃথক দুটো মামলা করেন সিলেটের কোতোয়ালি থানায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘদিন মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত ছিল। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ একটি বেঞ্চ রায়ে মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অর্থ আতœসাত মামলায় রাগীব আলী ছাড়া অন্য আসামীরা হচ্ছেন- তার ছেলে আব্দুল হাই, মেয়ে রেজিনা কাদির, জামাতা আব্দুল কাদির, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দেওয়ান আব্দুল মজিদ ও চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত।
এর আগে সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে গত ২ ফেব্রুয়ারি তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় ছেলেসহ রাগীব আলীকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই আদালতে রাগীব আলী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলায় পলাতক অবস্থায় সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলার অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৭ ফেব্রয়ারী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed