Main Menu

খুসখুসে কাশির প্রতিকার

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে সাধারণত খুসখুসে কাসি ও ঠাণ্ডা-জ্বর হয়। এখন বাংলাদেশে শীত পেরিয়ে হাল্কা গরম, হালকা শীত চলছে। এটা ঠাণ্ডাসহ খুসখুসে কাশির জন্য নাজুক সময়। এছাড়া অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা তৈরি হতে পারে। একটানা খুসখুসে কাশি বিরক্তিকর। অনেক ক্ষেত্রে আবার কফ জমাট বেধে ভয়ানক কাশিও হয়। একটু সচেতন হলে ওষুধ না খেয়েও এই খুসখুসে কাশি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।

আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকরভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে যাবে। এক কাপ পানিতে সমপরিমাণ হলুদের গুঁড়ো এবং মৌরি দিয়ে হারবাল চা বানিয়ে দিনে তিনবার করে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

খুসখুসে কাশি দূর করতে পেঁয়াজ খুবই কার্যকর। আধচামচ পেঁয়াজের রস এবং এক চা চামচ মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে চায়ের মতো দিনে দুইবার করে পান করুন। পেঁয়াজের ঝাঁজ খুসখুসে কাশি কমাতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিন ১-৩ বার এক টেবিল চামচ করে বিশুদ্ধ মধু গ্রহণ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

এক চা চামচ করে হলুদে এবং গোলমরিচের গুঁড়ো আধকাপ পানিতে জ্বাল দিন। কিছুক্ষণ পরে এতে একটি লবঙ্গ দিয়ে আরও দুই মিনিট জ্বাল দিন। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এ চা পান করুন।

রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামুচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।

Share





Related News

Comments are Closed