Main Menu

‘জ্বালানি তেলের দাম কমছে না’

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‍বিপু। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম দু’ধাপে কমানোর কথা ছিল, সরকারের কাছে আমরা অনুমতির জন্য পাঠিয়েও ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সারা বিশ্বে তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে এবং বিশ্ব ব্যাংক আভাস দিয়েছে আগামী বছরেও তেলের দাম বাড়তে পারে। এ কারণে সরকার এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোন প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্টে (কমানোর মাধ্যমে মূল্য সমন্বয়) না যাওয়ার।’

আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ধাপে ধাপে তেলের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি ছিল। গত ২৮ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি মাসেই তেলের দাম কমানো হবে।

এখন ডিজেল ও ফার্নেসওয়েলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লাভ কত থাকছে- একজন সংবাদিক জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজেলে খুব কম। ডিজেলে খুব বেশি মার্জিন থাকে না। যেহেতু এখানে সরকার ভর্তুকি দেয় যখন কৃষক পর্যায়ে যায়। এ ভর্তুকিটা আরও বেশ কিছু বছর রাখতে হবে। আমাদের পোভার্টি লেভেল (দারিদ্রতা) যদি শেষ না হয়, ততদিন ডিজেলে এটা রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মেইন যে তেলটা আনি সেটা জেট ফুয়েল। এই যা তেলের খরচ আমাদের। জেড ফুয়েলে কিছুটা লাভ করি, ডিজেলে অতি সামান্য। কনজাম্পশনের কারণে টোটাল আকারটা বড়। এছাড়া তো তেল আমরা আনি না। পেট্রোল আর অকটেন এখন আমার নিজেরা দেশেই উৎপাদন করি।’

একজন সাংবাদিক বলেন, ‘অতীতে শুনে আসছি সরকার তেলে ভর্তুকি দিচ্ছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সরকার লাভ করছে, সরকার বলছে ওই টাকা এখন ফেরত নেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকিই যদি সরকার দিয়ে থাকে এখন তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে কেন। এটা তো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর বলেন, ‘এ প্রশ্নটা আমারও, আমরা ভর্তুকি দিলে তা আবার ফেরত নেওয়ার দরকার কি? আমার মনে হয় এ প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। প্রতি বছর আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলছি, যেহেতু এটা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এটা অ্যাবসিলিউট করার জন্য। এবারও বাজেটে এটা আমরা চাইব।’

আন্তর্জাতিক বাজারে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে সরকার কোন ধরণের জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছিল না। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে জ্বালানি তেলের দাম কামনোর দাবি ছিল। সেই প্রেক্ষাপটে গত বছরের ৩১ মার্চ প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করে সরকার।

এরপর ২৪ এপ্রিল প্রতি লিটারে ডিজেল ও কোরোসিনে ৩ টাকা করে এবং পেট্রোল ও অকটেনে ১০ টাকা করে কমায় সরকার।

এখন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা। এছাড়া পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা ও অকটেনের দাম ৮৯ টাকা।

Share





Related News

Comments are Closed