Main Menu

মহাশূন্য-মহাকাশ জগৎ মানুষেরই করতলে

খলিলুর রহমান: “আলাম তারা আন্নাল­াহা সাখ্খারা লাকুম মা ফিস্ সামাওয়াতি ও যাল আরজ্বি-“ আল-কোরআন। পবিত্র কোরআনের এ আয়াতাংশের ভাবার্থ হচ্ছে ‘ আল্লাহ আসমান এবং জমিনের (মহাশূন্যের) সবকিছু মানুষের অধীনস্থ ও পরাভুত করেছেন।” আয়াতাংশ দ্বারা প্রমানিত হয় যে, মানুষ শুধু পৃথিবি নয়, সৌরজগত নয়,এই মহাশূন্যের সবকিছু জয় করবে। আজ আমরা একমাত্র পৃথিবি জুড়েই মানুষ ও মানব সভ্যতা। এমনো এক সময় আসবে যখন সারা মহাশূন্য ও মহাকাশ জগৎ জুড়ে বিস্তৃত হয়ে যাবে মানব সমাজ ও সভ্যতা। তখন মানুষ গ্রহে-গ্রহে ও মহাশূন্যের জগতে-জগতে কায়েম করবে পৃথক পৃথক রাজত্ব। আজকাল যেমন আমরা এশিয়া থেকে ইউরোপ, অফ্রিকা, আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ায় যাই, ফ্লাইট করি, আত্মীয়তা করি। এমন এক সময় আসবে যখন এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে, এক সৌরজগত থেকে অন্য সৌরজগতে মানুষ ফ্লাইট করবে। ভিসা অফিস ও ফ্লাইপোর্ট হবে গ্রহে-গ্রহে, মহাশূন্যের জগতে-জগতে। গ্রহে-গ্রহে ও মহাশূন্যের জগতে-জগতে যুদ্ধ বিগ্রহ বাঁধবে, আত্মীয়তা ও মৈত্রীর বন্ধনও হবে । মোট কথা কিয়ামতের আগে পুরো মহাশূন্য জগৎ জয় করবে এবং পুরো মহাশূন্য জগতে ছড়িয়ে পড়বে সৃষ্টির সেরা মানুষ। অনেকে হয়তো এটাকে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিতে পারেন, আমাকে হয়তো পাগল বলতে পারেন। কিন্তু দুনিয়ার জ্ঞানী ও বিজ্ঞানীরা আজ থেকে একশ’ বা পঞ্চাশ বছর আগে যেটাকে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন, আজ সেটা সম্ভবে পরিণত হয়েছে। অন্যদের পাগল বলে আজ তারা নিজেরাই পাগল সেজেছেন। এই সৃষ্টি জগতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আজ যা অসম্ভব কাল তা দিবালোকের ন্যায় সম্ভবে পরিণত হচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আছে “ ওয়া ইয়াখলুক্বু মা লা তা’লামূন” যার ভাবার্থ “ আল্লাহ তায়ালা এমন সব সৃষ্টি করছেন যা তোমাদের জ্ঞান গরিমার বাইরে”-আল-কোরআন। পবিত্র আল-কোরআনের সুরা আল-রাহমানের আয়াত “ইয়া মাহ্শারার জিন্নি ওয়াল ইনসি, ইনিস্তাতা’তুম আন-তানফুজু মিন আক্বতারিস্-সামাওয়াতি ওয়াল আরজ্বি ফান্ফুজূ, লাা তান্ফুজূনা ইল­া বি-সুলতান”। সংক্ষেপে অর্থ-‘এই পৃথিবি ও মহাকাশ বা মহাশূন্যের উপরের আসমান (মহাবেষ্টনী) ভেদ করে যেতে পারবে না কোন মানব ও দানব।” যা থেকে পরিষ্কার বোধগম্য পৃথিবি ও আসমানের মধ্যকার মহাশূন্যের সবকিছু ও সব জগত জয় করতে পারবে মানুষ, কিন্তু মহান স্রষ্টার অনুমতি সনদ (এরাইভাল) ছাড়া কেউই ‘আসমান’ ভেদ করে উপরে যেতে পারবে না। এ থেকে আরো বোধগম্য যে পৃথিবি ও মহাকাশ (মহাশূন্য)-এর-বাইরে যে বেষ্টনীগুলো রয়েছে সেগুলোই আসমান। যা আজো অনেক জ্ঞানী-বিজ্ঞানী স্বীকার করতে পারছেন না। কিন্তু এমন একদিন আসবে, আজ যারা আল্লাহর সৃষ্ট আসমানকে অস্বীকার করছেন তাদেরকে বলা হবে বিজ্ঞান জগতের পাগল। যেমন আজ থেকে কয়েক বছর পূর্বে যেসব বিজ্ঞানী বলতেন পৃথিবি সমতল, তাদেরকে আজ পাগল সাজিয়েছেন অধুনাযুগের বিজ্ঞানীরা। যারা বলতেন সূর্য ঘুরে পৃথিবি স্থির, আর যারা বলতেন সূর্য স্থির এবং পৃথিবি ঘুর্নয়মান, তাদের উভয়কে আজ পাগল খেতাব দিয়ে বলা হযেছে পৃথিবি সূর্য উভয়ই ঘুর্নয়মান। পৃথিবি ঘুরছে সূর্যকে কেন্দ্র করে আর সূর্য ঘুরছে অন্য কোন বড় নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে। পবিত্র কোরআনের সূরায়ে আর-রাহমান ও সূরায়ে ইয়াসীনে আজ থেকে প্রায় দেড়হাজার বছর পূর্বে চন্দ্র-সূর্য উভয়ই ঘুর্নয়মান বলে বর্ননা রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed