Main Menu

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটে চলছে হরিলুট

বিশেষ প্রতিনিধি: শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটে চলছে সরকারী টাকা হরিলুট। কাজ না করিয়েই প্রায় ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা। ইতোমেধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের আংশিক টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর টাকাও তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেট বিভাগের ৪২টি কলেজের অবকাঠামো নির্মানে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পৃথক টেন্ডারে প্রায় ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ১১টি কলেজের প্রত্যেকটিতে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা করে ভবন নির্মানে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কলেজগুলো হচ্ছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজ, একই জেলার বাদাঘাট কলেজ, সৈয়দপুর আদর্শ কলেজ, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ, বড়খাল বহুমূখী স্কুল এন্ড কলেজ, সমুজ আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেটের গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ, দয়ামীর কলেজ, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ও নূরজাহান মেমোরিয়েল মহিলা কলেজ। প্রকল্পের কাজ ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত কোন কলেজে কাজ শুরু করা হয়নি। কাজ না করিয়েই এর আগে গত অর্থবছরের জুন মাসেই ৩০% কাজের বিল তুলে নেয়া হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে দু’একটি কলেজে নামে মাত্র কাজ শুরু করা হলেও অধিকাংশ কলেজে এখনো কাজের কোন হদীস নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানেনই না কবে থেকে কাজ শুরু করা হবে।
গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজের হেডক্লার্ক আব্দুশ শহীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টাকা বরাদ্দ হওয়ার খবর পেয়েছি, তবে কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা আমাদের জানা নেই।
বড়খাল বহুমূখী স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নজির আহমদ জানান, টাকা বরাদ্দের সংবাদ পেলেও এখনো কাজের কোন হদীস মিলছে না।
দক্ষিণ সুরমার নূরজাহান মেমোরিয়েল মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল নিজাম উদ্দিন তরফদার জানিয়েছেন, বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি।
চলতি ডিসেম্বরে ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজসহ কয়েকটি কলেজে সবেমাত্র কাজ শুরু হয়েছে এবং কাজ শেষ হতে অনেক সময় প্রয়োজন।
এদিকে ওই ১১ কলেজের কাজ সম্পন্ন না করেই এ বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আরো ৩১টি কলেজে ৫৫ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। নামেমাত্র ৩-৫% নিম্নদরে কাজগুলো দেয়ায় সরকারের প্রায় ৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ ১৮-২০% নিম্নদরে দেয়ার সুযোগ থাকলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৩-৫% নিম্নদরে ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে । আর এভাবেই অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট-এর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্তা-ব্যক্তিরা অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।
অভিযোগের ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট-এর নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিমের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য না দিযেই ফোন রেখে দেন।

Share





Related News

Comments are Closed