‘তখন আমার সেন্স ছিল না’
বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: ‘আপনার বিরুদ্ধে ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় চার্জ গঠন করা হবে, আপনি কী দোষী?’
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম করার দায়ে বদরুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জ গঠনের সময় মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান এমন প্রশ্ন করেন আসামীকে।
জবাবে বদরুল বলেন, ‘তখন আমার সেন্স ছিল না, আমি অসুস্থ ছিলাম। দুই/তিন দিন পর আমি সুস্থ হলে বুঝি কাজটি ঠিক করি নাই।’
আপনি দোষী না নির্দোষ ? আবার প্রশ্ন পিপির।
আমি নির্দোষ-জবাব বদরুলের।
সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এভাবেই মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) খাদিজা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার চার্জ গঠন হয়। আদালত চার্জ গঠনের পর আগামী ৫ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মাহফুজুর রহমান ছাড়াও অর্ধ শতাধিক আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন। আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বদরুলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৩৬ জনকে। বদরুলের বিরুদ্ধে ৩২৪, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বদরুলের বিরুদ্ধে প্রদানকৃত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছিলেন সিলেটের মেঅ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে খাদিজার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্ক জখম হয়। হামলার পরপরই বদরুলকে আটক করে পুলিশ। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। খাদিজার ওপর হামলার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। ছাত্রলীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরাণ থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
হামলায় আহত খাদিজাকে প্রথম দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তিন দফা অস্ত্রোপচার হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। এর সাতদিনের মাথায় খাদিজাকে হুইল চেয়ারে করে কিছুক্ষণ ঘোরানো হলেও সে সময় তিনি কাউকে চিনতে পারছিলেন না বলে তার স্বজন ও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। পরে ধীরে ধীরে খাদিজার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২৮ নভেম্বর সোমবার তাকে রিহ্যাব ফিজিওথেরাপি দেয়ার জন্য সাভারের সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডে (সিআরপি) স্থানান্তর করা হয়েছে।
Related News
ওসমানীনগরে প্রবাসী আমিনা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমিনা বেগম (৬০) হত্যা মামলার রায় ঘোষণাRead More
সিলেটে ব্যাংকের প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাত, একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগরীর মেন্দিবাগ শাখার ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১২ কোটি ৭১ লাখRead More
Comments are Closed