Main Menu

সিলেটে কিডনি হাসপাতালের নকশা প্রণয়ন শুরু

বিশেষ সংবাদদাতা: বাস্তবতার পথে হাঁটা শুরু করেছে সিলেটে নির্মিতব্য আন্তর্জাতিক মানের স্বয়ংসম্পূর্ণ কিডনি হাসপাতাল। প্রস্তাবিত হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে উদ্যোক্তারা পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
৫ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উদ্যোক্তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতিদের নিয়ে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রস্তাবিত হাসপাতালের নকশা প্রণয়নের মূল দায়িত্ব পালন করছে রাজধানী ঢাকার নামকরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘আরবানা’। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান স্থপতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ভাসির্টির প্রধান আর্কিটেকচার অধ্যাপক কাশেফ চৌধুরী ও তাঁর সহকর্মী স্থপতি সাইফ এম আহসান বুধবার প্রস্তাবিত হাসপাতালের পুরো প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। স্থপতি দলকে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন প্রস্তাবিত হাসপাতালের প্রকল্প তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল বাছিত চৌধুরী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা সিলেটের কৃতীসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অবঃ) মোঃ আব্দুস সালাম বীরপ্রতীক, প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুস সাকিব ও শিল্পপতি ইকবাল হোসেন। তাদেরকে স্বাগত জানান হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছায় ভ‚মিদাতা লায়ন জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও তাঁর ভ্রাতষ্পুত্র নাকিব সা’দাত চৌধুরী। নকশার কার্যক্রম প্রণয়ণ হয়ে গেলে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে উদ্যোক্তারা আশাবাদী।
উল্লেখ্য, সিলেট সদও উপজেলার টুকেরবাজারের সিলেট-বাদাঘাট সড়কের নাজিরেরগাঁও নামক স্থানে প্রস্তাবিত হাসপাতালটি নির্মিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই স্বয়ংসম্পূর্ণ কিডনি হাসপাতালটি স্থাপনের নিমিত্বে লায়ন জুবায়ের আহমদ চৌধুরী ও তাঁর পরিবারবর্গ প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১২০ শতক ভ‚মি বিনামূল্যে এবং বিনাশর্তে দান করেছেন।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি উদ্যোক্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এখানেই হাসপাতাল স্থাপনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর হাতে নৃশংস হত্যার শিকার সিলেট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তৎকালীন স্বনামধন্য চিকিৎসক শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদের সুযোগ্য সন্তান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কিডনি বিশেষজ্ঞ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ-এর উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন এন্ড রিচার্স হসপিটাল-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। পিপিপি প্রজেক্টের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের তরফ থেকে ৮০% এবং বিনিয়োগকারীরা ২০% অর্থ বিনিয়োগ করবেন।
প্রকল্পটি দ্রæততার সাথে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন এন্ড রিচার্স হসপিটাল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডা. হারুনুর রশীদ তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেটের কিডনি রোগীরা এই হাসপাতালেই আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পাবেন এবং চিকিৎসার জন্য তাদের আর দেশের বাইরে যেতে হবে না। গরীব ও দুঃস্থ রোগীরা স্বল্পমূল্যে, কোন কোন ক্ষেত্রে বিনামূল্যেও চিকিৎসা সুবিধা পাবেন বলে উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন।

Share





Related News

Comments are Closed