কোরআন পুরো মুখস্থ অন্ধ সাজ্জাদুলের
ধর্ম ডেস্ক: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা তাঁর প্রত্যেক বান্দাকেই কিছু না কিছু শক্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠান। আর সেই শক্তিকে যারা সৃষ্টিকর্তার পথে কাজে লাগান তারাই হন প্রিয় বান্দা। তাদেরই একজন সাজ্জাদুল ইসলাম। বয়স মাত্র ১৮ বছর। তার চোখে আলো না থাকলেও অন্তরদৃষ্টি দিয়ে দূর করেছেন অন্ধত্ব। এই বয়সেরই পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছেন হাফেজ সাজ্জাতুল ইসলাম (১৮)।
মানুষ পারে না এমন কাজ নেই। সেজন্য প্রয়োজন প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল। শুনে শুনে কোরআন মুখস্থ করে তারই উদাহরণ সৃষ্টি করলেন প্রতিবন্ধী সাজ্জাতুল।
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার আলাওয়ালপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত জবেদ আলী মাল ও সায়েদা বেগমের ছোট ছেলে সাজ্জাতুল। তারা চার ভাই, চার বোন। জন্মের পাঁচ বছর পরই সাজ্জাদুল চোখের দৃষ্টি হারান। দেখতে পান না দুই চোখেই। এরপর মাদরাসার শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনে শুনে পবিত্র কোরআন শরিফ মুখস্ত করেন এই যুবক।
আল্লাহর পথে বলিয়ান হাফেজ সাজ্জাদুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমার বয়স যখন ৫ বছর তখন শরীরে হাম ওঠে। হামে দু’চোখের দৃষ্টি হারাই। ৮ বছর বয়সে চাঁদপুর নেছারিয়া আরাবিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় হেফজ খানায় ভর্তি হই। এরপর মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমানের মুখে শুনে শুনে দুই বছরেই কোরআন মুখস্ত করি। পরে চট্টগ্রাম জামিয়া আহমদিয়া কামেল মাদরাসায় মিজান কিতাব শেষ করি।’
২০১৯ সালে শরীয়তপুরের আংগারিয়া সমন্বিত অন্ধ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে সরকারি খরচে পড়ালেখা করছেন সাজ্জাদুল।
অন্ধ হলেও অন্যের ওপর সারা জীবন নির্ভরশীল থাকতে চান না তিনি। পড়াশোনা শেষ করে বড় হয়ে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন সাজ্জাদুলের।
Related News
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সুসম্পর্ক ও ভালবাসার মর্যাদা ব্যাপক। কুরআন ও হাদিসেরRead More
চাঁদ দেখা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকেRead More
Comments are Closed