Main Menu

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : পাঁচদিনের চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এসময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (৬ জুলাই) চীনের স্থানীয় সময় ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের কে বহনকারী ফ্লাইট বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সেখানে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান চীনের সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুয়ো ঝাওহুই, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী। চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ে যোগদান করেন এবং ‘কোঅপারেশন ইন দি প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায়ও অংশ নেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মিয়ানমারকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন বলে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন। কেকিয়াং চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) মিনিস্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স সঙ্গ তায়ো’র সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সিপিসি মিনিস্টারও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সূ চি এবং অন্যান্য মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে তার দলের আলোচনার বিষয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা এবং বেইজিং’র মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৪ জুলাই চীনা প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন সিপিসি’র কার্যালয় গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিংয়াং এর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওসি (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটন সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক।

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দিনের চীন সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনে বন্ধু দেশ চীনের সহযোগিতা। চীন সরকারও চাই, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরে যাক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে এমন আশাবাদের কথাই জানা গেছে সফর সূত্র থেকে। এদিকে খাদ্য সাহায্য সংক্রান্ত এলওসি’র আওতায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য চীন দুই হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।

Share





Related News

Comments are Closed