সোনারপাড়ায় পানির জন্য হাহাকার, প্রতিকার দাবি
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগরীর ২১নং ওয়ার্ডের সোনার পাড়া এলাকায় পানির তীব্র সংকট বিরাজ করছে। গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে পানির চাহিদা বাড়লেও পানি সরবরাহ অনেকাংশে কমেছে। অত্র এলাকায় রান্না, ধোয়া মোছাসহ জরুরি কাজও ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে না। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাইরে থেকে পানি কিনে খাচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু সবার পক্ষে এ খাতে বাড়তি খরচ করা সম্ভব নয়।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে পানির জন্য হাহাকার করতে দেখা গেছে এলাকাবাসীকে। সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী। উক্ত এলাকায় রয়েছে সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। প্রতিদিন টিফিনের সময় পানির জন্য হাহাকার করতে হয় তাদেরকেও। অনেক সময় পানি কিনে খেতে হয় তাদের।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নারী-শিশু ও যুবক-বৃদ্ধরা পানির অভাবে প্রতিবাদী হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। মিছিল, মিটিং, মানববন্ধনসহ বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। গত বছর পানির জন্য অত্র এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছেন। এলাকাবাসী সিলেট সিটি কর্রোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করেছেন।
এ ব্যাপারে উক্ত এলাকার বাসিন্দা মছব্বির মিয়া বলেন, এমনিতেই গরম, তার ওপর পানি নেই। পানি কিনে গোসল করা, খাওয়া, রান্না করা কি খুব সহজ কথা! দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউই। সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মাত্র দু’ঘন্টার জন্য পানি ছাড়লেও কোন কাজে আসছেনা এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আরেক এলাকাবাসী শাহাবুদ্দিন খান জাবেদ জানান, রমজান মাসে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পাওয়া গেলেও ঈদের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পানির জন্য হাহাকার চলছে। মাত্র দু ঘন্টার জন্য পানি সরবরাহ হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। আর এ সময়টাতে পানির গতি ধীর হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, ঈদের পর থেকে পানির জন্য হাহাকার করছি আমরা। এখানে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকার ফলে পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন তিনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ জুবের আহমদ ও গুলজার সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ না করার ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী পানি নিয়ে সেবার পরিবর্তে বাণিজ্য শুরু করেছে। যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এক সময় এসব কর্মচারী আরও বেপরোয়াভাবে পানি বাণিজ্য করতে পারে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিনের সাথে বার বার মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন সিরিভ করেননি। পাশাপাশি পানির লাইনম্যান গুলজারের সাথেও কোন যোগাযোগ করা যায়নি।
Related News
সিলেটে ২৯ মার্চকে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস উদযাপনের আহ্বান
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেটে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা থেকে ২৯ মার্চকে সিলেটেRead More
সিলেটে আন্তর্জাতিক হোলি উৎসব
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: মণিপুরী নৃত্য ধর্মীয় আচারের অংশ হলেও এখন সেটি বিশ্বে সুনাম কুঁড়াচ্ছে। এRead More
Comments are Closed