Main Menu

চলে গেলেন রুমা গুহঠাকুরতা

বিনোদন ডেস্ক: প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী রুমা গুহঠাকুরতা আর নেই।

সোমবার (৩ জুন) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার ৩৮ বালিগঞ্জ প্লেসে নিজ বাসভবনে তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মধ্যে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অনেক দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

মুম্বাইয়ে ছেলে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অমিত কুমারের বাসায় মাস তিনেক থেকে সম্প্রতি তিনি কলকাতায় ফিরেছিলেন।

বিকেলে মুম্বাই থেকে ছেলে অমিত কুমার আর মেয়ে শ্রমণা চক্রবর্তী কলকাতায় ফিরে আসার পর রুমা গুহঠাকুরতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রথিতযশা এই শিল্পীর জন্ম কলকাতায় ১৯৩৪ সালে।

রুমা গুহঠাকুরতা ছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী। রুমার মা সতী দেবী ছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও প্রথম নারী সংগীত পরিচালক।

কিশোর কুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৯৫১ সালে। ১৯৫৮ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। রুমা-কিশোর কুমার দম্পতির একমাত্র সন্তান অমিত কুমার। কিশোর কুমারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর রুমা গুহঠাকুরতা ১৯৬০ সালে বিয়ে করেন অরূপ গুহঠাকুরতাকে। তাঁদের ঘরে রয়েছে একটি কন্যাসন্তান। তিনি সংগীতশিল্পী শ্রমণা চক্রবর্তী।

১৯৫৮ সালে গানের দল ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার গঠন করেছিলেন রুমা গুহঠাকুরতা।

অরূপ গুহঠাকুরতার ভাই সুদেব গুহ ঠাকুরতা আজ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সকালে দেখা যায়, তিনি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। আমাদের এক ভাইয়ের ছেলে ডাক্তার। ও নিচেই থাকে। তাঁকে ডেকে আনার সময়টুকুর মধ্যেই বউদি চলে গেলেন। সেভাবে কোনো অসুস্থতা ছিল না। কিন্তু বয়সের কারণে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’

রুমা গুহঠাকুরতা শুধু সংগীতশিল্পী নন, একজন অভিনেত্রী হিসেবে স্বাক্ষর রেখে গেছেন টালিউডে। তিনি সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ (১৯৬২) ও ‘গণশত্রু’ (১৯৮৮) ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি তপন সিনহা, তরুণ মজুমদারের ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তিনি ‘বালিকা বধূ’, ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’, ‘হংসমিথুন’, ‘তিন কন্যা’ ও ‘পলাতক’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

রুমা গুহঠাকুরতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টালিউডে। গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়সহ টালিউডের শিল্পীরা।

Share





Related News

Comments are Closed