Main Menu

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সুবীর নন্দী

বিনোদন ডেস্ক: একুশে পদক পাওয়া বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। সুবীর নন্দীর জামাতা রাজেশ শিকদার আজ সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, আজ আরেক দফা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। গতকাল রোববার রাতেও আরেকটি হার্ট অ্যাটাক হয় তার। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর তার তৃতীয়বারের মতো হার্ট অ্যাটাক হলো।

এদিকে, বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তিনি।

আজ সকালে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসকেরা যে আশা করেছিলেন, বারবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় তাও ক্ষীণ হয়ে গেছে। সুবীরের শরীরের মাল্টিপল অরগান ফেইলিওর হয়েছে। সুবীর এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।’

উন্নত চিকিৎসার জন্য ছয় দিন আগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিউতে চিকিৎসাধীন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।

১৮ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সেদিন বিকেলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে বরেণ্য এই শিল্পীর চিকিৎসা শুরু হয়।

গত ১২ এপ্রিল একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীমঙ্গলে গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী ও তার পরিবার। পয়লা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুবীর নন্দীর। এরপরই তাকে সেখান থেকে সরাসরি সিএমএইচে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির ডায়ালাইসিস করাচ্ছেন সুবীর নন্দী।

দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশ হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।

Share





Related News

Comments are Closed