Main Menu

এপ্রিল মাসে সিলেটে ১৭ ধর্ষণ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: ‘ভাগনির বাসায় খালাকে গণধর্ষণ’, ‘শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাই গ্রেফতার’, ‘স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ’ এমন সংবাদের শিরোনামে এপ্রিল মাস জুড়ে সিলেটে আলোচনায় এসেছে ধর্ষণের বেশ কয়েকটি ঘটনা। এসময়ে ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যায়নি শিশুরাও।

জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে সিলেট জেলায় ১৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে সিলেট জেলায় ১৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বেশীরভাগই অপরাধীরা ধরা পড়েছে। অনেকক্ষেত্রে অভিযান অব্যাহত আছে।’

এদিকে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার কারন হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও অভিভাবকদের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা।

এছাড়াও সচেতনরা দাবী করেছেন, এসব মামলার বিচার কার্যে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা, ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় থাকা, সামাজিক ও পারিবারিক সহযোগিতার অভাব ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনা বাড়ার কারন।

দীর্ঘদিন থেকে সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ইউনাইটেড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সভাপতি প্রভাষক সৈয়দ আয়েশ মিয়া। তিনি মনে করেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনার প্রথমত দায়ী সোশ্যাল মিডিয়া। এরপর রয়েছে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট এবং শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার পরিবেশের ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব।

তিনি বলেন, এখন সবাই ব্যাপক হারে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে সহজেই একজন অশ্লীল ও পর্ণগ্রাফির সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেট এটাকে আরো অবাধ ও সহজ করেছে। এসব অশ্লীল ও পর্নগ্রাফির সাথে যুক্ত হওয়ার কারণে শিশু, কিশোর, তরুন, যুবক থেকে শুরু করে মধ্য বয়সীদের মাঝে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় মুল্যবোধের বিধি নিষেধ কমে যায়। যার কারনে এসব ঘটনা ঘটছে।

এসময় বাবা-মায়ের অতিরিক্ত টিভি সিরিয়াল প্রীতি ও সন্তানদের প্রতি খোঁজ না রাখার জন্য তারা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আর মামুনুর রশীদ নামে এক আইনজীবী বলছেন, ‘বেশির ভাগ ঘটনার শিকার পরিবার ও আসামিরা সমঝোতা করে। তাই বিচারে জড়িতরা শাস্তি পায় না। এছাড়াও বিচারক সমস্যা, প্রতিবেদন পেতে দেরী হওয়ার কারনে মামলার প্রতি খেয়াল বা আগ্রহ কমে যায়। বিচার কাজ শুরু হলেও মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য দিতে না আসার কারনে বিচারকাজ বিলম্বিত হয়। এই কারনে জড়িতরা পার পেয়ে যাচ্ছে। জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিতে হলে বাদীদের কঠোর হতে হবে।’

Share





Related News

Comments are Closed