Main Menu

সিলেট চেম্বারের কার্যক্রমে আদালতের স্থগিতাদেশ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সকল কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। চেম্বারের এক সদস্যের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ওই নির্দেশ দেন। বিচারপতি হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল গঠিত সমন্বয় বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বানিজ্য মন্ত্রনালয়কে কারণ দর্শাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘

গত ২৫ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (২০১৯-২০২১) সালের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ও আপীল বোর্ড পুণর্গঠন করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে। আর আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদকে।

এর আগে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধূরী ও আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন।

গত ২৭ এপ্রিল সিলেটের ব্যবসায়ীদের এ শীর্ষ সংগঠনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। তবে ভূয়া ভোটার তালিকার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত করে।

নির্বাচন স্থগিতের পর ভোটার তালিকা বাছাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৩০ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে সিলেট চেম্বার পরিদর্শন করে অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পান।

তদন্ত প্রতিবেদনে ৪০ শতাংশ সদস্যই ভুল তথ্য ও জালিয়াতি করে সংগঠনটির ভোটার হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর চেম্বার সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ কমিটির মেয়াদ ৩ মাসের জন্য বৃদ্ধি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেম্বারের বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাড়িয়ে নির্বাচনী বোর্ড ও আপিল বোর্ড পুণগঠনের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশ দেয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিল রোববার সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য তাহমিন আহমদ হাইকোর্টে রিট করেন। তার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ৬ মাসের জন্য সিলেট চেম্বারের সকল কার্যক্রম স্থগিত এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে রিটকারী তাহমিন আহমদ জানান, ভূয়া ভোটার প্রমাণিত হওয়ার পরও নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড়ে আমরা আদালতের শরনাপন্ন হয়েছিলাম। আদালত চেম্বারের সকল কার্যক্রম স্থগিত এবং বাণিজ্য মন্ত্রনালয়কে কারণ দশানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ বলেন, স্থগিতাদেশ জারির বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি।

Share





Related News

Comments are Closed