Main Menu

জৈন্তাপুরে উদ্ধার হওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরের ফিসারী থেকে উদ্ধারকৃত শিশুর মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মামলা দায়ে করেছেন।

জানা যায়, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাখিটিকি এলাকায় ফিসারী থেকে পুলিশ একটি শিশুর (ছেলে) মৃত দেহ উদ্ধার করে। শিশুর পরিচয় সনাক্তের জন্য পুলিশ সকলের সহযাগিতা চায়। উদ্ধারকৃত শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট হওয়ার পর বেরিয়ে আসে শিশুর পরিচয়।

নিহত শিশু সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানাধীন খাদিমনগরের রুস্তুমপুর নাদিয়া ভিলার বাসিন্ধা সিলেট ফুলকলি লিঃ এর কারিগর সহকারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও বিলকিছ বেগমের ছেলে মোঃ মুরসালিনের (১১ মাস)।

এদিকে উদ্ধার হওয়া শিশুর মা বিলকিছ বেগম জানান, তারা লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর থানার শাকচর গ্রামের বাসিন্ধা। স্বামী সিলেটের ফুলকলি শাখায় কারিগর সহকারি হিসাবে কর্মরত থাকার কারণে বিগত ৭/৮ মাস পূর্ব থেকে সিলেটে বসবাস করে আসছেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ নিয়ে ৩ মাস পূর্বে কথা কাটাকাটি হয় এবং বিষয়টি এক পর্যায়ে মিটমাট হয়।

অপরদিকে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বিলকিছ বেগমের স্বামী ১১ মাস বয়সী মুরসালিনকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। বিষয়টি শিশুর মা বিলকিছ বেগম লক্ষীপুরের পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোনে জানান। ১৯ এপ্রিল দুপুরে প্রতিবেশির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে শিশুর ছবি দেখতে পেয়ে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নাদিয়া ভিলার বাসিন্ধারা বিলকিছ বেগমের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করেলে পরিবারের সদস্যরা জৈন্তাপুর মডেল থানায় যোগাযোগ করেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) শিশুর মা স্বজনদের নিয়ে জৈন্তাপুর থানায় হাজির হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযোটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেছে।

এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন, উদ্ধার হওয়া শিশুর মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুর মা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।

Share





Related News

Comments are Closed