Main Menu

সুনামগঞ্জে ১৩ বছরের কিশোরী ৯ মাসের অন্তসত্তা!

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় মোঃ আব্দুনুর মিয়া (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার গনিগঞ্জ গ্রামের মৃৃত আরব আলীর ছেলে।

সোমবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

নির্যাতিত পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষনকারীর ঘরে স্ত্রী, ৫ ছেলে, ছেলের বউ ১ মেয়ে নাতি নাতনী থাকার পরও লম্পট আব্দুনুর ঐ নাবালিকা কিশোরীকে পর পর ধর্ষন করে। বর্তমানে সে ৯ মাসের অন্তসত্তা। গ্রাম্য সালিশের কয়েকজন মাতব্বরের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুষ্টু বিচার পায়নি এই নির্যাতিত অন্তসত্তা কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ঘটনার পরপরই নির্যাতিতা কিশোরীর দিনমুজুর পিতা গ্রামের মাতব্বরদের দ্বারস্থ হয়ে ধর্ষনের ঘটনাটি তাদের অবগত করেন এবং গ্রামের ৮ জন সালিশদের উপস্থিতিতে বৈঠক বসে এবং ধর্ষনকারীর পক্ষ থেকে কিশোরীর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর নিকাহ নামার মধ্য দিয়ে বিয়ে করিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় এবং চারমাস পূর্বে কিশোরীর পরিবারকে জোরপূর্বক ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেয়ার পর বাকি টাকা দিয়ে কাবিননামা করে ধর্ষনকারীর ঘরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু গ্রাম্য সালিশের বিচারকগণ কথা দিয়ে কথা না রাখায় ও সময় কালক্ষেপন করায় ঐ কিশোরী এখন ৯ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের।

ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কিশোরীর পিতা গ্রামের (মাতব্বর) সালিশদের দ্বারস্থ হলে এখন তারা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার পায়তাঁরা করছেন বলে কিশোরীর পিতা ও মাতা সাংবাদিকদের নিকট এমন অভিযোগ করেন।

এঘটনায় প্রায় পাচ মাস পূর্বে ঐ সালিশগণ উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন এবং ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরের মাধ্যমে বিয়ের কাবিন নামার মাধ্যমে কিশোরীকে ধর্ষনকারী আব্দুনুরের কাছে বিবাহের আশ্বাস দেয়া হয়।

ঘটনার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা সালিশদের স্মরণাপন্ন হলে গ্রাম্য বিচারকদের অনীহা উদাসীনতার কারণেই এই কিশোরী এখন সন্তানের মা হতে চলেছে বলে তার পিতামাতা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন কথা জানান।

এদিকে আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই এই নাবালিকা কিশোরী একটি সন্তানের মা হতে চলেছে এমন ভাষ্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের। অন্তসত্তা কিশোরীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১৬ মার্চ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share





Related News

Comments are Closed